দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ তনু, নুসরাত ফারিহা’র মত নির্মমভাবে লক্ষীপুরের সদর থানার হামসাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গোপী নাথপুর গ্রামের নবম শ্রেনীর ছাত্রী হীরামনি ও নেত্রকোনার গৃহকর্মী মারুফাকে ধর্ষণ করে হত্যা করার প্রতিবাদে ধর্ষক ও হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার(১৯ জুন)বিকেল সাড়ে ৩টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে BHDS অপরাধ প্রতিরোধ কল্যান সংস্থা নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার আয়োজনে এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি মোঃবাবুল দেওয়ানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন BHDC অপরাধ প্রতিরোধ কল্যান সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির সহ সভাপতি চম্পা ভূইয়া,নূর হোসেন,ফেরদৌসি রেহেনা,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জব্বার শিবলু,হেলাল মৃধা,মহিউদ্দীন,সদস্য মনির, সিয়াম, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তারেক, সদস্য মনিকা আক্তার, সানি সরকার, সিদ্বিরগঞ্জ থানা কমিটির সদস্য স্বর্ণালী সহ আরো অন্যান্য সদস্য।
বক্তব্যে মোঃবাবুল দেওয়ান বলেন, বাংলাদেশে তনু,নুসরাত, হীরামনি, মারুফা’র মত কত মেয়ে ধর্ষনের শিকার হয়ে মারা যাচ্ছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত সঠিক বিচার পাচ্ছে না।
হীরামনি ধর্ষনের গত এক সপ্তাহ হয়ে গেছে কিন্তু এখনো আসামীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।আমরা BHDS অপরাধ প্রতিরোধ কল্যান সংস্থা নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার পক্ষ থেকে হীরামনি ও মারুফা ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং সেই সাথে তাদের ধর্ষণ করে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবী করছি।
সহ-সভাপতি চম্পা ভূইয়া বলেন,বর্তমান আমাদের দেশের নারীরা ঘর থেকে বাহিরে কোন জায়গায়তেই নিরাপত্তায় নেই।একের পর ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাচ্ছে আমাদের বোনেরা।এমনকি ৪ বছরের শিশুরাও এদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।লক্ষীপুরের হীরামনি ও নেত্রকোনার মারুফাকে ধর্ষণ করে হত্যা করার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও আসামীদের ফাঁসি দাবী করছি।
উল্লেখ্য যে,গত ১২ জুন ক্যান্সার আক্রান্ত বাবার লাশ আনতে মা সহ সবাই যখন ঢাকায় তখন বাড়িতে একা হীরামনি। এ সুযোগেই গত ১২ জুন শুক্রবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে ৯ম শ্রেনী পড়ুয়া স্কুলছাত্রী হীরামনিকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন ১৩ জুন রাতে নিহতের মা ফাতেমা বেগম লাকি বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন।