দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের তত্ত্বাবধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রস্তাবিত ও প্রতিষ্ঠিত এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনেরর পরিচালনায় দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রকল্প পুনঃঅনুমোদনের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে প্রদান করা হয়।
রবিবার (১২জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই স্মারকলিপিটি প্রদান করে দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যান সমিতি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।
দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রকল্পটি দ্রুত পাশ করে আসন্ন কুরবানি ঈদের পূর্বে শিক্ষকদের বকেয়া বেতন-ভাতা,প্রকল্প অনুমোদনের সময় শিক্ষকদের স্থায়ী জনবল উল্লেখ করে স্কেল ভিত্তিক বেতন-ভাতা প্রদান,প্রাইমারি স্কুলের ন্যায় দারুল আরকাম মাদ্রাসার শিক্ষকদের পিটিআই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত পরিমান শিক্ষক নিয়োগ, প্রাইমারি স্কুলের ন্যায় ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সমূহের আসবাবপত্রসহ ভবন নির্মাণে বরাদ্দ প্রদান এবং রাজস্বখাতভুক্ত করারা নির্দেশ প্রদান করা এই ৬টি আবেদন পেশ করে স্মারকলিপিটি প্রদান করা হয়।
এর আগে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রকল্প পুনঃঅনুমোদনের দাবীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যান সমিতি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা একটি মানববন্ধন করে।
স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যান সমিতি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোঃকামরুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোঃজসিম উদ্দিন,সহ-সভাপতি মোঃসহিদুল ইসলাম,মাওলানা আলী মাহমুদ,কোষাধ্যক্ষ মাওলানা আতিকুল্লাহ সহ অন্যান্য ওলামায়ে কেরামরা।
স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর একনেক সভায় মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প(৬ষ্ঠ পর্যায়)অনুমোদনের সময় প্রতান্ত্য অঞ্চলে শিক্ষায় পিছয়ে পড়া শিশুদের মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা অন্তর্ভূক্ত করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর ভিত্তিতে ২০১৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে উক্ত প্রকল্পের অধীনে ১ম সংশোধনীর মাধ্যমে দারুল আরকামের নামে দেশের প্রতিটি উপজেলায় ১০১০টি মাদ্রাসা করা হয় এবং ২০১৮ সালে ১০১০ জন ক্বওমী ও ১০১০জন আলিয়া মাদ্রাসার সনদপ্রাপ্ত আলেম নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালু হয়।
প্রথমে ৩ শ্রেনী পর্যন্ত পাঠাদান থাকলেও ২০১৯ সালে ৫ম শ্রেনীতে উন্নীত হয় এবং গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আলেম-উলামা ও পাবলিক সেন্টিমেন্টের দিকে লক্ষ রেখে ধর্ম মন্ত্রনালয় প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয় কিন্তু গত ১১ মে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষা কার্যক্রমটি পাশ হলেও প্রকল্প থেকে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে বাদ দেওয়া হয়।
এর ফলে সাইনবোর্ডে অবস্থিত দারুল আরকাম ইবতেদায়ী প্রায় ২ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তা দেখে প্রতিষ্ঠানটি নির্মানে ভূমিদাতা, বিল্ডিং দাতা সহ সাধারণ মানুষ মর্মাহত।
তাছাড়া এই মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের ২০২০জন শিক্ষক ৬মাস ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে সংকটময় জীবন অতিবাহিত করছে।