দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থবিরতা কাজ করলেও, দলকে সাংগঠনিক ভাবে গুছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দলের নীতি নিধারকরা। ইতিমধ্যেই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠন গুলো সাঁজাতে কাজ শুরু করেছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে সংগঠন গুছানোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে বেশ জোড়ে সোড়ে। আর এই কমিটিতে গুরুত্বপুর্ন পদে স্থান পাছে নতুনরা। আর সেই সাথে সিনিয়র নেতাদের কমিটিতে রাখার কথাও রয়েছে। তবে সেই পদটি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে সহ-সভাপতিদের তালিকায়।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটিও সাজানো হচ্ছে একই ধারাবাহিকতায়। যেখানে গুরুত্বপুর্ন পদে থাকছে নতুনদের আর্বিভাব। পাশাপাশি ছাত্রলীগের কমিটিতেও হাত দেয়ার কথা ভাবছেন শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সেই সাথে জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগও রয়েছে এই তালিকায়।
সূত্র আরও জানায়, মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন গুলোর রাজনৈতিক কর্মকান্ড থমকে গেলেও সংগঠন গুছানোর কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই কমিটি গুলো ঘোষণা করা হবে। এবার কমিটিতে অধিকাংশ তরুনরাই স্থান পাবে বলে আমরা আশা করছি। তবে তরুনদের পাশাপাশি সিনিয়রাও থাকছেন প্রতিটি কমিটিতে।
কারন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের নির্দেশ মোতাবেক তরুনদের এগিয়ে আনার বিষয় জোড় সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। আশা করি কমিটি ঘোষণা করার পর এর বাস্তবতা সবার সামনে উঠে আসবে।
অপরদিকে, প্রায় একযুগের অধিক ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ও সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন নিয়মতান্ত্রিক ভাবে। অবিভাবকহীন হয়ে পড়া জেলা বিএনপির কমিটি অচিরেই ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি। এবার কমিটিতে নতুন ও পুরাতনের মিশ্রনে কমিটি সাজানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এর সহযোগী সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল সহ প্রায় অধিকাংশ কমিটি নতুন করে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তবে মহানগর বিএনপির কমিটি নতুন করে দেয়ার সম্ভবনা নেই বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এদিকে, জেলা বিএনপির পাশাপাশি জেলা ও মহানগর যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল সহ অন্যান্য সংগঠন গুলো গুছানোর কাজ চলছে বেশ জোড়ে সোড়ে। এবার কমিটিতে স্থান পাচ্ছে তরুন রাজপথে থাকা নেতৃবৃন্দ। সেই সাথে সাংগঠনিক দক্ষতার যাচাই বাছাই এর পাশাপাশি ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাত করা নেতাদের রাখা হচ্ছে না গুরুত্বপুর্ন পদে। সেই সাথে যে সকল নেতারা বর্তমান গুরুত্বপুর্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদেরকে কমিটি থেকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেখানে স্থান পেতে যাচ্ছেন দলের ত্যাগী নেতারা।
তবে কমিটি ঘোষণার কথা শুনার পর থেকে মহানগর যুবদলের সভাপতি খোরশেদ ঘোষিত কেন্দ্রীয় দোকানদারদের সাথে জোড় লবিং শুরু করেছেন পদ পদবি ক্রয় করে আনা অনেক বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এখন দেখার বিষয় সেই ঘোষিত দোকানদারদের সাথে জোড় লবিং করে সুবিধাবাদীরা কতটুকু সফল হতে পারে।