দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ফকির নীটের সংকট সমাধানের দাবিতে আন্দোলন করেন শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১ টায় চাষাঢ়া শহীদ মিনারে শহীদ জড়ো হয়ে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ণ কেন্দ্র (জিটিইউসি)’র নেতৃত্বে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও বিকেএমইএ কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ণ কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীনের সভাপতিত্বে, বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা দুলাল সাহা, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ফকির নীটের শ্রমিক সানোয়ারা বেগম, মনোয়ারর হোসেন ও আজাদুল প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন- ফকির নীটের শ্রমিকরা তাদের চাকরি ফিরে পেতে ও ন্যায্য দাবি আদায়ে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছে। শিল্প কারখানার সংকট নিরসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি দপ্তর ও বিকেএমইএ এবং শিল্প পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে কিন্তু কেউ এই শ্রমিকদের সংকট সমাধানে ব্যবস্থা নেয়নি। দুই দিন পর ঈদ কাল থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে যাবে। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে শ্রমিকরা আজ দিশেহারা। এই অবস্থা আর চলতে দেওয়া যাবে না।
গার্মেন্টস মালিকরা শ্রমিকদের শ্রম ঘাম শোষণ করে এবং সস্তা শ্রম নিয়ে বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছে। এখন শ্রমিকদের সাথে দাম্ভিকতা দেখায়। আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে ফকির নীটের মালিক দাম্ভিকতা দেখিয়েছে যা ইচ্ছে খুশি মতো আচরণ করছে।
সংকটের সুষ্ঠু সমাধান না করে শ্রমিকদের চাকরি থেকে বরখাস্তের ঘোষণা দিয়ে তাদের আইনি সর্বোচ্চ পাওনা ও ঈদ বোনাস থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। যে শ্রমিকরা বছরের পর বছর মালিককে মুনাফা করে দিয়েছে আজকে সেই শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করে তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার জন্য মালিক উঠে পড়ে লেগেছে।
মালিকের এহেন শ্রমিক স্বার্থবিরোধী অমানবিক প্রবণতা, অন্যায় ও জুলুমের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন ছলচাতুরি ছেড়ে এই মুহূর্তে শ্রমিকদের চাকরি ফেরত দেন নতুবা আইনি সর্বোচ্চ পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে সংকট সমাধান করেন।
তা না হলে পরিণতি ভালো হবে না। শ্রমিকদের দাবি আদায়ের চলমান নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অশান্ত হয়ে উঠবে। এতে নারায়ণগঞ্জে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি তৈরি হলে এর দায়দায়িত্ব মালিক ও সরকারকে নিতে হবে।