দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান এর নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে মিজান মেম্বার বিরুদ্ধে।
তবে কয়েকবার দেওয়াল নির্মাণ কাজে ভুক্তভোগীরা বাধা দিলেও কোন কাজে আসেনি। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগী কাউসার ও চাঁনতারা স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি কাজ বন্ধ করার জন্য মিজান মেম্বারকে একাধিকবার বলে। এবং জায়গার মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত দেয়াল নির্মাণ করতে নিষেদ করেন।
এমনকি তাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নোটিশও করা হয়। কিন্তু তিনি তার নির্দেশ অমান্য করে দেয়াল নির্মাণ কাজ করেন বলে জানান পদুঘর উলাক মসজিদ এলাকার নিরীহ কাউসার গংরা।
পরবর্তীতে এ বিষয় প্রতিকার চেয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরে বন্দর থানা পুলিশ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু পূনরায় আবারও প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মিজান জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ কাজ করে।
সরেজমিনে বন্দর উপজেলার পদুঘর উলাক মসজিদ এলাকায় গিয়ে জানা যায়, কুশিয়ারা মৌজার এস এ ৫৬৭, আর এস ৮০৯ ও এস এ ৫৬৮, আর এস ৮১০ দাগ নাম্বার জায়গা মিজান মেম্বারের পিতা মৃত আব্দুল মান্নান তার মেয়ে তাজেনুর বেগম কে লিখে দেয়। পরে তাজেনুর বেগম ৩, আব্দুল মান্নান ৩ শতাংশ করে মোট ৬ শতাংশ জায়গা কাউসার ও চাঁনতারার কাছে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু মিজান মেম্বার নিরীহ কাউসার ও চাঁনতারার জায়গায় না বুঝিয়ে দিয়ে চেয়ারম্যানের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ করে জায়গাটি দখল করে নেয়।
এদিকে, গত ৩০ জুন ভুক্তভোগী কাউসার ও চাঁনতারার ভোগ দখলীয় জায়গায় মিজান মেম্বার জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ করার সময় বাধা দেয় এবং প্রশাসনকে জানান কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে আবারও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানান। গত ৭ জুলাই দু’পক্ষকে সামাজিক ভাবে মিমাংসার জন্য কাগজপত্র নিয়ে বসতে বলে এবং কাজ আপাদত বন্ধ রাখতে বলা হয়।
পরবর্তী সময়ে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবুল ও ৮নং ওয়ার্ডের আব্দুল সালাম মেম্বারসহ দু’পক্ষকের স্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা কাগজপত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সামাজিক ভাবে বসে।
এক পর্যায়ে মিজান মেম্বারের ৬৮৮ নাম্বার একটি দলিলের সন্দেহ হলে বাদী পক্ষের লোকজন সেই দলিলটি ভুয়া প্রমান করবে বলে জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তখন এহসান চেয়ারম্যান দু’পক্ষকের কথা শুনে দলিল প্রমান করতে বলে এবং কাগজপত্র জমা দিতে বলে। কাগজপত্র দেখে পরবর্তী সময়ে যার কাগজ রাইট তাকে জায়গাটি বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানান। এবং সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাজ করতে নিষেদ করে।
কিন্তু ১২ জুলাই সকালে আবারও জোরপূর্বক দেয়াল এবং দোকানের কাজ শুরু করে। পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান তার গ্রাম পুলিশ এবং ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল সালাম কে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করিয়ে দেয়।
এ বিষয় বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আজিজ বাবুল বলেন, ভুক্তভোগী কাউসার ও চাঁনতারা নিরীহ পরিবার তারা যেনো সুষ্ঠ বিচার পায়। আমি সব সময় পাশে থাকবো এবং চেয়ারম্যান নিষেধ করার পরেও মিজান মেম্বার দেয়াল নির্মাণ কাজ করেছে যা খুবই দুঃখজনক।
এ বিষয় ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল সালাম বলেন, আমি তো ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার নই। চেয়ারম্যানের নির্দেশে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সংবাদকর্মীদের সাথে দেখা হলে তাদের সাথে ভুক্তভোগীর বাড়িতে যাই এবং আমরা যাওয়ার আগেই চেয়ারম্যান সাহেব গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে মিজান মেম্বারের কাজ বন্ধ করে দেয়।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ বলেন, জায়গার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক ভাবে মিমাংসা করার কথা থাকলেও আমার নিষেদ অমান্য করে মিজান মেম্বার তার ক্ষমতার বলে আবারও কাজ করে ছিলো। আমি খবর পাওয়ার পরে আমার গ্রাম পুলিশ পাঠিয় কাজ বন্ধ করে দেই।