দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে আজ ৪ টায় ২নং রেল গেইট বাসদ কার্যালয়ে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর ১১২তম ফাঁসি দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ফোরামের সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম শিমুল, অর্থ সম্পাদক মুন্নি সরদার, রাকিবুল হাসান রবিন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষুদিরাম বসু ছিলেন বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের এক কিশোর বিপ্লবী। তিনি দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে কিশোর বয়সেই নাম লেখান স্বরাজ আন্দোলনে। জজ কিংসফোর্ডকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছোড়া গ্রেনেড ভুল করে অন্য গাড়িতে পড়ে সাধারণ দুটি ইংরেজ মহিলার মৃত্যু হয়।
পরে ক্ষুদিরাম বৃটিশ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তথাকথিত বিচারের নামে তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়। দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে অন্যায়ের কাছে মাথানত না করে বরং সাহসিকতার সাথে ফাঁসির মঞ্চে উঠে হাসি মুখে ফাঁসির রশি গলায় পড়েছেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ক্ষুদিরামরা জীবনদেয়ার মধ্যদিয়ে ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছে, একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু স¦াধীন দেশে শাসকগোষ্ঠীর দুর্বলতায় যুব সমাজের মধ্যে নৈতিক অধঃপতন মারাত্মক রূপ নিয়েছে। আজকে কিশোররা কিশোর গ্যাং তৈরী করে নিজেরা নিজেরা মারামারি করছে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য জীবন দেয়ারমত কিশোর তৈরী হচ্ছে না। পাঠ্যবইয়ে ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, আজাদ, রুমিদের মত মানুষদের নিয়ে আসা উচিত।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার একটি ভঙ্গুর দশা। করোনাকালে সাধারণ মানুষের সন্তানদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ছাত্রদের চলতি বছরের বেতন-ফি ও মেসভাড়া-বাসাভাড়া মওকুফের ব্যবস্থা করতে সরকারকে কার্যকর পদ্েক্ষপ নিতে হবে। সমাজের শোষণ-বঞ্চনা দূর করতে ক্ষুদিরামের জীবন থেকে শিক্ষা নেয়া খুব প্রয়োজন। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)