দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ আলোচিত জিসামনি ধর্ষন,হত্যা ও মৃত্যু কিশোরী ফেরত আসা মামলার ৩ আসামীর জামিন ও জিসামনির স্বামী ইকবালের রিমান্ড নামঞ্জুর করেছে আদালত। একই সাথে আব্দুল্লাহ, রকিব ও খলিলের ১৬৪ ধারা জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদনটি নথিভুক্ত করার আদেশ প্রদান করে।
সোমবার(৩১ আগষ্ট)সকালে ১১টায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃকাউসার আলমের আদালতে জিসামনি ধর্ষন ও হত্যা মামলার ৩ আসামীর জামিন ও জিসামনি স্বামী ইকবালের রিমান্ড শুনানির আদালতের তুললে বিচারক আসামীদের জামিন ওও রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করে।
এবিষয়ে আসামী জিসামনি হত্যা মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবি এড.মোঃরোকন উদ্দিন বলেন,আজ আসামীদের জামিন শুনানির ধার্য তারিখ ছিলো কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট স্যার আব্দুল্লাহ, রকিব ও খলিলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।সেই সাথে আসামীরা যে রিমান্ড ভয়ে ১৬৪ ধারায় জিসামনি ধর্ষন ও হত্যা কথা স্বীকার করে জবানবন্দির পরিণতি না বুঝে এমন জবানবন্দি দিয়েছে।
আর যেহেতু ভিকটিম জিসামনি উদ্ধার হয়েছে সুতরাং বিষয়টির সাথে আসলো ঘটনাটি সামঞ্জস্য নেই।আসামীরা নিজেদের পুলিশ নির্যাতন রক্ষায় এমন জবানবন্দি দিয়েছে।তাই বিজ্ঞ আদালতের কাছে তাদের ১৬৪ ধারা জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন জানাবো হয় এবং পরে আদালত তা আমলে নিয়ে নথিভুক্ত করার নির্দেশ প্রদান করেছে।সেই সাথে জিসামনির স্বামী ইকবালেরও রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করে।
জিসামনি মামলার প্রধান আসামী আব্দুল্লাহ মা শিউলি বেগম ছেলের জামিন না পেয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,আজ আমার ছেলেরে জামিনের জন্য আদালতে তোলা হয়েছিলো কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট আমার ছেলের জামিন নামঞ্জুর করেছে।আমি আমার ছেলের মুক্তি চাই।মেয়ে তার মায়ের বুকে গেছে।আমার ছেলেকেও আমার বুকে ফেরত দেওয়া হক।প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন আমার ছেলের মুক্তি চাই আর এস আই শামীম স্যারের বিচার চাই।কঠিন বিচার চাই।বাংলাদেশে এই রকম আর কোন ঘটনা যাতে না ঘটে।
এর পরে আদালতপাড়ায় গুম,ধর্ষণ,হত্যা মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আব্দুল্লাহ,রকিব ও খলিলকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী সহ আসামীদের জামিন জন্য মানববন্ধন করে আব্দুল্লাহ, রকিব ও খলিলের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলো।
উল্লেখ্য যে গত ৪ জুলাই ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন তাকে না পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় জিডি এবং মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ অটোরিকশা চালক রকিব, আব্দুল্লাহ্ ও খলিলকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিলটন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের পৃথক আদালতে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার দায় স্বীকার করে বলে জবানবন্দি দেন।
ঘটনার ৫১ দিন পর গত ২৩ অগাস্ট ওই কিশোরী তার মোবাইলফোনে যোগাযোগ করলে পরিবারের লোকজন তাকে এনে পুলিশে সোর্পদ করে।ফিরে আসার পর ওই কিশোরী আদালতে জানিয়েছে, ইকবাল নামের এক যুবককে বিয়ে করে বন্দর এলাকার এক ভাড়া বাড়িতে সংসার পাতে সে।পুলিশ তার স্বামী ইকবালকেও গ্রেফতার করে। আদালত এখন ওই কিশোরিকে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়েছে।