দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগে এক নেতা একাধিক পদে আসীন থাকলেও, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেক নেতাই রয়েছেন পদহীনদের কাতারে। যারা বিগত দিনে গুরুত্বপুর্ন পদে দায়িত্ব পালন করে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সততার সাথে। বর্তমান রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন দলের হয়ে পদহীন থেকে দলের জন্য কাজ করে রয়েছেন আলোচনায়।
অথচ একাধিক গুরুত্বপুর্ন পদে দিব্বি আরামে আয়েশি মনোভাব নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন অনেক সিনিয়র নেতা। যদিও তাদের দাবি নতুনদের জন্য সরে যেতে প্রস্তুত আছেন দায়িত্বে থাকা সিনিয়র নেতারা।
এদিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এহসানুল হক নিপু, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান নান্নু সহ অনেক নেতাই পদহীন হয়েও দলের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন অবিরাম।
অপরদিকে, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদের ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসানাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল রয়েছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের গুরুত্বপুর্ন পদে। এই সকল সিনিয়র নেতাদের সাথে কমিটিতে স্থান পেয়েছে অনেক সাংগঠনিক কর্মকান্ডহীন অনেক নেতা।
এদিকে, প্রায় এক যুগের অধিক সময় পাড় হলেও এখনও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটি রয়েছে বয়ষ্কদের হাতে। যদিও তারা বর্তমান আওয়ামী লীগের কমিটিতে আছেন গুরুত্বপুর্ন পদে।
তবে এ বিষয় তাদের মতামতে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটিতে থাকা সিনিয়র নেতাদের ইচ্ছে থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের কারনেই এখনও পরিবর্তন আসছে না যুবলীগে।
তারা আরও বলেন, এতো দিনে কমিটি হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারনে কমিটির কাজ বাস্তবায়ন হয়নি। তবে আশা করা যায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ভাল থাকলে সেপ্টম্বরের মধ্যে কমিটির কাজ হাতে নিবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আর আমরা চাই যে সকল নেতারা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এখনও পদহীন হয়ে রয়েছেন। তাদের হাতেই যুবলীগের দায়িত্ব দেওয়া হউক।
এদিকে, পদে না থেকেও দলের জন্য নিরলশ পরিশ্রম করে যাচ্ছেন অনেক নেতা। সেই সাথে তাদের সমর্থিত কর্মীরাও একই ভাবে দলের প্রয়োজনে ছুটে যাচ্ছেন বিভিন্ন কাজে।
তবে এখন দেখার বিষয় দলও দলের নেতারা এই সকল যোগ্যতা সম্পুর্ন নেতাদের দিকে কবে নাগাদ দৃষ্টি দিবেন তা এখন সময়ের অপেক্ষা।