দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যায় তিন যুবকের স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর কিশোরী জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ আগষ্ট) বিকেলে পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলমের নির্দেশে এসআই শামীমকে সদর মডেল থানা থেকে পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়।
সেই সাথে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল হাইকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের নির্দেশে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তিন সদস্যে একটি তদন্ত কমিটি ঘটনা করা হয়। যে কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়।
এদিকে, অভিযুক্ত তিন যুবকের পরিবার দাবি করেছেন, এসআই মামুন রিমান্ডে নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে ৪৬ হাজার টাকা নিয়েছেন। এরপরও রিমান্ডে নির্যাতন করে, ভয় দেখিয়ে তাদের স্বীকারোক্তি আদায় করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ হয় ওই কিশোরী। নিখোঁজের প্রায় দুই সপ্তাহ পর ১৭ জুলাই সদর মডেল থানায় জিডি করেন কিশোরীর মা। পরে গত ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন বাবা। পরদিন ওই মামলায় পুলিশ বন্দরের খলিলনগর এলাকার মো. আব্দুল্লাহ (২২), বুরুন্দি পশ্চিমপাড়া এলাকার ইজিবাইক চালক রাকিব (১৯) ও ইস্পাহানী খেয়াঘাটের নৌকার মাঝি খলিলুর রহমানকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে গত ৯ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পৃথক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আসামিরা। স্বীকারোক্তিতে তারা জানান, ওই স্কুল ছাত্রীকে নৌকায় ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন তারা। বর্তমানে তিন জন কারাগারে রয়েছেন।