দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ ফতুল্লায় বাড়ি ফেরার সময় গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক পোশাক শ্রমিক। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ।
বুধবার (১৯ আগষ্ট) দিবাগত দেড়টায় পাগলা খেয়াঘাটের পাশে বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলো, আলীগঞ্জের রেললাইন এলাকার মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে মোস্তাক (২২),আলীগঞ্জের জোড়া ৫ তলার পাশে মহিবুল্লাহর ছেলে হিমেল (২০),ফতুল্লার আলীগঞ্জের শিবলু কাজীর বাড়ির ভাড়াটিয়া নুরুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (২১),সোনারগায়ের মুসার চর ভূইয়াপাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে রবিন (২১), ঐএলাকার আকবর বেপারীর বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল আউয়াল হাওলাদারের ছেলে মাসুম (২০)।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজন পলাতক রয়েছে বলে জানায় ফতুল্লা থানা পুলিশ।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, কেরানীগঞ্জের পানগাও এলাকার ১৮ বছরের এক তরুনী ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীর একটি গার্মেন্টে চাকরী করে। প্রতিদিন বিকেল ৫ টায় আবার কোন সময় রাত ৮ টায় গার্মেন্ট ছুটি হওয়ার পর অন্যানন্য সহকর্মীদের সাথে বাসা চলে যায়। বুধবার কাজের চাপ থাকায় ওভারটাইম শেষ হওয়ার পর রাত ১২ টায় ছুটি হয়। তার পর একই কারখানায় চাকরী করে এক বান্ধবীকে সাথে বাসার উদ্দ্যেশে রওনা হয়।
দুই বান্ধবী পঞ্চবটি হতে অটোরিকশা নিয়ে পাগলা খেয়াঘাটে যায়। তারা নৌকার জন্য অপেক্ষা করছে এবং সাথে অটো রিকশা চালকও। কিছুক্ষণ পর এক বখাটে খেয়াঘাটে দুই তরুনীকে দেখে ফোন করে অন্যদের ডেকে আনে। তারা ৬ জন একত্রিত হয়ে চালককে হুমকি দিয়ে তারা দুই তরুনীকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে চালক এক তরুনীকে বাচিয়ে আনতে পারলেও অন্যজনকে আনতে পারেনি। আর রাত দেড়টার দিকে ৬ জন মিলে পালাক্রমে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ করে।
তিনি আরো বলেন, ধর্ষণের ঘটনার এক ঘন্টা পর তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থানায় এসে অভিযোগ দায়েরের পর ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে তিন ঘন্টার মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাত হতে সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এমনকি ধর্ষণের শিকার তরুনীর বান্ধবী সহ অটোরিকশা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনার সাথে তাদের যোগসাজস রয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হবে।