দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বন্দর উপজেলার ইস্পাহানী ঘাট এলাকায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১০ আগষ্ট) দিবাগত রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ইস্পাহানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলো আলভি, মোকতার হোসেন, আহমদ আলী, কাশেম, আনোয়ার হোসেন, শিপলু। এর আগে নিহত জিসানের বাবা কাজিমউদ্দিন বাদী হয়ে ২১ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
নিহত মিনহাজুল ইসলাম মিহাদ বন্দরের কদমরসুল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র। সে নাজিমউদ্দিন খানের ছেলে ও বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি কমল খানের ভাতিজা। অপরজন হলো বন্দরের বিএম ইউপি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র জিসান। সে বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সেক্রেটারী কাজিমউদ্দিনের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ইন্সপেক্টর মাসুদ রানা জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য গ্রেফতারদের ১০ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের ইস্পাহানী ঘাট এলাকায় ১০ আগষ্ট বিকেলে স্থানীয় দুই গ্রুপ কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় একপক্ষের ধাওয়ায় আত্মরক্ষার্থে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেয় মিহাদ ও জিসান। রাত সোয়া ১১টায় দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।