দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ শিল্প ও বন্দর নগরী নারায়নগঞ্জে মৃত্যুর দেড়মাস পর জীবিত অবস্থায় নাটকীয় ভাবে ফিরে এসেছে জিসামনি নামে এক স্কুল ছাত্রী।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ধর্ষনের পর হত্যা করার অভিযোগে জিসামনির বাবা জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে ১৭ জুলাই মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ আব্দুল্লাহ,খলিল মাঝি, নকিব নামে ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করে।সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আহ্ম্মেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে আসামীরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে হত্যা করার কথা স্বীকার করে।
রবিবার ( ২৩ আগষ্ট ) জিসামনি নবীগঞ্জ একটি ফোনের দোকানে এসে বাবা মাকে ফোন করে। বাবা মা জিসামনিকে উদ্ধার করে সদর মডেল থানা থানায় নিয়ে আসে।
গত ৪ জুলাই জিসামনি ইকবাল নামে এক যুবকের সাথে পালিয়ে যায়। গত ১৭ জুলাই জিসামনির বাবা ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় এসআই শামীম রিমান্ডে না মারার কথা বলে আসামীদের কাছ থেকে দফায় দফায় টাকা ৪৭০০০/ টাকা নেন। জিসামনি দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান গনমাধ্যম কর্মীদের বলেন,ঘটনার দিন আব্দুল্লাহর মোবাইল ফোনে জিসামনি কথা বলে। আব্দুল্লাহর কাছে চিপস খেতে চাইলে আব্দুল্লাহ চিপস আনতে গিয়ে আর আসেনি পরে সাবেক প্রেমিক ইকবালকে ফোন করে তার সাথে চলে যায়। বন্দরের কুশিয়ারায় রমজানের বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। রবিবার মোবাইল ফোনে মার কাছে ৪০০০ টাকা চায়। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার। যেহেতু জবানবন্দী দিয়েছে আসামীরা তদন্ত সাপেক্ষ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে।