দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ আলোচিত জিসামনি ধর্ষন,হত্যা ও মৃত্যু কিশোরী ফেরত আসা মামলার আসামী নৌকার মাঝি খলিলের জামিন মঞ্জুর ও প্রধান আসামী আব্দুল্লাহ জামিন ধার্য তারিখ পিছিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর )সকালে ১১টায় আব্দুল্লাহ ও নৌকার মাঝি খলিলকে আদালতে তুলে জামিন আবেদন করলে জামিন শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মোঃআনিসুর রহমান নৌকার মাঝি খলিলের জামিন মঞ্জুর ও আব্দুল্লাহ এর জামিন শুনানির ধার্য তারিখ পিছিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর প্রদান করে।
খলিলের জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে তার আইনজীবী এড.আব্দুল লতিফ বলেন,আমরা গতকাল মানে ১ সেপ্টেম্বর খলিলের জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করলে আজ জামিন শুনানির ধার্য তারিখ প্রদান করা হয় এবং আদালত আজ খলিলের জামিন আবেদনটি মঞ্জুর করে।
অন্যদিকে আব্দুল্লাহ জামিন শুনানির তারিখ পরিবর্তন বিষয়টি নিশ্চিত করে এড.মোঃরোকন উদ্দিন বলেন,আজ জিসামনি ধর্ষন,হত্যা মামলার আব্দুল্লাহ জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিলো কিন্তু আব্দুল্লাহ জামিন শুনানির ধার্য তারিখ পিছিয়ে ৭ সেপ্টেম্বর দেওয়া হয়েছে।অন্যদিকে এই মামলার অন্য আসামী নৌকার মাঝি খলিলের জামিনটি মঞ্জুর করে আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন তাকে না পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় জিডি এবং মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ অটোরিকশা চালক রকিব, আব্দুল্লাহ্ ও খলিলকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিলটন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের পৃথক আদালতে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার দায় স্বীকার করে বলে জবানবন্দি দেন।
ঘটনার ৫১ দিন পর গত ২৩ অগাস্ট ওই কিশোরী তার মোবাইলফোনে যোগাযোগ করলে পরিবারের লোকজন তাকে এনে পুলিশে সোর্পদ করে।ফিরে আসার পর ওই কিশোরী আদালতে জানিয়েছে, ইকবাল নামের এক যুবককে বিয়ে করে বন্দর এলাকার এক ভাড়া বাড়িতে সংসার পাতে সে।পুলিশ তার স্বামী ইকবালকেও গ্রেফতার করে। আদালত এখন ওই কিশোরিকে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়েছে।