দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম বলেন, বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তিনি দেশের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। অথচ তাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ মিথ্যা ও বিভ্রান্তি মূলক কথা বলছে। এদেশের আপামর জনতা জানে ১৫ আগষ্টের ঘটনায় কারা জড়িত ছিলো।
মঙ্গলবার (১লা সেপ্টম্বর) বিএনপির ৪২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিকেল সাড়ে ৪ টায় কালিবাজারস্থ মহানগর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৫ আগষ্টের ঘটনায় সময় বিএনপির জন্মই হয়নি কিন্তু সরকার বিএনপির জনসমর্থন কমাতেই মিথ্যা অভিযোগ করছে। সরকার বিএনপির নেতা ও কর্মীদের উপর এতো নিযার্তন, জুলুম, অত্যাচার, অন্যায় ভাবে ভিত্তিহীন মামলা দিয়েও দল থেকে সরাতে পারেনি। বরং প্রতিনিয়তই এদেশে বিএনপির নেতা ও কর্মীদের সংক্ষ্যা বাড়ছে। সেই সাথে তাদের দুর্নীতি ও অপকর্ম সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। তাই আওয়ামী সরকার জনগনের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, যে উদ্দেশ্যে দেশ স্বাধীন হয়েছে এই সরকার সেই উদ্দেশ্যকে বিলীন করে ফেলেছে। এদেশে এখন গণতন্ত্র নাই, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার, মানুষের মৌলিক অধিকার সব ছিনিয়ে নিয়েছে। শহীদদের আত্মত্যাগ আজ বিলীন হয়ে গেছে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ৩ টি উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গঠন করেছিলো। সেটা হচ্ছে দৃঢ় ঐক্যবদ্ধ, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র এই বিষয় গুলো বাস্তবায়নের জন্য বিএনপির জন্ম। কিন্তু পরিকল্পনাহীন সরকার অলিখিত ভাবে দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করেছে।
আমি আওয়ামী সরকারকে আহবান করবো দেশের জনগণকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ দেন। দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করুন।
সহ-সভাপতি এ্যাড. মোঃ জাকির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা জানে আওয়ামী লীগকে এদেশের জনগণ পছন্দ করে না। তাই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে জন সমর্থন নেয়ার বৃথা চেষ্টা করছে। অথচ শেখ হাসিনা জানে ১৫ আগষ্ট ঘটনায় কাদের হাতে রক্ত লেগে আছে। ১৫ আগষ্ট ঘটনার পর ইন্নালিল্লাহ… পড়ার মত কোন নেতা ছিলো না।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধে যাপিয়ে পরেছিলেন। আমার সৌভাগ্য আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গড়া দল বিএনপিতে একজন কর্মী হিসেবে এখনও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের যদি এতোই সাহস থাকে তাহলে উপনির্বাচন গুলো সুষ্ঠু দেন দেখবেন আপনাদের অবস্থা কি হয়। এদেশে আইনের শাসন নেই বলেই খালেদা জিয়াকে আজ কারাগারে যেতে হয়। আমি বলবো স্বৈরাচারের পতন হউক বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সফল হউক।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, ১৫ আগষ্টের জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। খন্দকার মোস্তাক সেটার নেতৃত্ব দিয়েছে, যে ছিলো আওয়ামী লীগের ঘরের লোক। অথচ শেখ হাসিনা এই হত্যার সাথে বিএনপিকে জড়িত থাকার কথা বলছে। মিথ্যা ইতিহাস রচনার নায়ক আওয়ামী লীগের নেতারা। যেভাবে নির্বাচনের আগের দিন রাতেই ভোট চুরি করে দেশে কলঙ্কের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
মহানগর বিএনপির সভাপতি এ্যাড. আবুল কালাম এর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, স্বাস্থ বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুজিবুর রহমান, মহানগর বিএনপি নেতা সুলতান হোসেন, হান্নান সরকার, পনির হোসেন, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলী আজগর, যুগ্ম- আহবায়ক মনির মল্লিক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইসমাইল মাষ্টার, মহানগর বিএনপি নেতা নেছার, আমিনুল ইসলাম মিঠু, শওকত আলী লিটন, ফেরদৌসুর রহমান, জাহাঙ্গীর মিয়াজী, হাজী তাহের আলী, এ্যাড. গুমন মিয়া, আলহাসান, আল মামুন, মানিক বেপারী, মহানগর যুবদল নেতা আলী ইমরান শামীম, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরী, সহ-সভাপতি আরাফাত চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু, প্রচার সম্পাদক দুলাল হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক রাজু আহম্মেদ রাজু, জাকির সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।