বিএনপির জন্য বিষফোড়ার শামিল
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জে করোনা বীর হিসেবে খ্যাত খোরশেদের রাজনীতির পিছনে বের হচ্ছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু রাজনীতি দিয়েই নয় বৈশ্বিক মহামারি করোনায়ও বিভিন্ন মহল থেকে আর্থিক সুবিধার তথ্য ফাঁস করেছে খোদ তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা।
পাশাপাশি নিজের রাজনৈতিক পদ টিকিয়ে রাখতেই রাজপথে সক্রিয় নেতাদের কমিটিতে স্থান না দিয়ে নিজের বাড়ির কাজের লোক ও পরিবারতন্ত্রের কমিটি করেছেন বলে অভিযোগ উঠে আসছে। সেই সাথে বিভিন্ন মহল থেকে আর্থিক সুবিধার জন্য দলের কোন ব্যানারে সেবা মূলক কাজ করেননি বলেও বক্তব্য দিয়েছেন যুবদল নেতৃবৃন্দ।
সোমবার নগরীর দেওভোগ এলাকায় সদরথানা যুবদলের তথ্য ফরম বিতরন অনুষ্ঠানে বক্তব্যের মাধ্যমে উন্মোচন করলো করোনা বীর হিসেবে খ্যাত খোরশেদের মুখোশ।
তাদের দেয়া বক্তব্যে বেরিয়ে আসে মহানগর যুবদলের সভাপতি টিম খোরশেদ নামে করোনায় কাজ করেছেন। কিন্তু জিয়াউর রহমানের নামে, বেগম খালেদা জিয়ার নামে, তারেক রহমানের নামে সে একটি কাজও করেনি। সেলিম ওসমানের কাছ থেকে দশ লাখ টাকার চেক আসবে, মডেল গ্রুপ থেকে চেক আসবে, তাই নাম দিয়েছেন টিম খোরশেদ। তাহলে যুবদলের সভাপতি হয়ে জিয়াউর রহমানের নাম কোথায়? বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার নাম কোথায়? দলের নাম একমুঠো চালও তিনি দেননি। তাহলে তিনি কি করে যুবদলের সভাপতি পদে থাকেন?
অপর এক নেতার বক্তব্যে জানা যায়, সভাপতি মাকসুুদুুল আলম খন্দকার খোরশেদ ঘরে বসে নেতাকর্মীদের ডেকে ডেকে এনে ফরম তুলে দিচ্ছেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সামনে তিনি খোদ স্বাীকারোক্তি দিয়েছেন সে কমিউনিস্ট পার্টি করতেন, তাই যুবদল নেতাকর্মীদের প্রতি তার দরদ কম। সে কারনে নেতাকর্মীদের খোজ খবর নেন না।
এদিকে তৃনমূল নেতৃবৃন্দদের দাবি, নিজের নামানুসারে টিমখোরশেদ নামে ছায়া সংগঠন করে খোদ বিএনপিকে বিব্রত করেছে। অন্যদিকে নিজের দলীয় লোকদের অগ্রাহ্য করে ব্যাক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের প্রশংসা মূলক বানী শেয়ারে ব্যস্ত ছিলেন।
যা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে দলের জন্য মোটেও শুভলক্ষন ছিল না। অথচ মহামারি করোনা ভাইরাসে লকডাউনের সময় বিএনপির নেতা ও কর্মীরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিরলস পরিশ্রম করেছেন অসহায় মানুষের জন্য।
যার ফলশ্রুতিতে বিএনপির রাজনীতিতে খোরশেদ দলের জন্য বিষফোড়া হয়েছে দাড়িয়েছে বলে রাজনৈতিক বোদ্ধাদের অভিমত।