দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লার মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও দুজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জন।
শনিবার(১৯ সেপ্টেম্বর)দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল।
নিহত আব্দুল আজিজ(৪০) শরীয়তপুরের নড়িয়া কেদারপুর গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে ও ময়মনসিংহের ত্রিশালের আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃফরিদ(৫৫)।দুইজনেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
দুজনের শ্বাসনালীও পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা সঙ্কটাপন্ন ছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন।তাছাড়া সবারই শ্বাসনারী পুড়ে যাওয়ায় কেউ শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছে।
এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ পটুয়াখালীর চুন্নু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ কেনান (২৪),নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নিউখানপুর ব্যাংক কলোনির আনোয়ার হোসেনের ছেলে রিফাত (১৮) এবং নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসিরহাট গ্রামের আবদুল আহাদের ছেলে আমজাদ (৩৭) এই তিনজন এখন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ব্যক্তিরা হলো জুয়েল(৭), মোঃমনির ফরাজী(৩০), মোঃমোস্তফা কামাল(৩৪), মোঃরিফাত(১৮), মাইনুদ্দীন (১২), আব্দুল হান্নান(৫০), রাসেল(৩৪), রাশেদ(৩০), নয়ন(২৭), আবুল বাশার মোল্লা(৫১), বাহাউদ্দিন (৫৫), শামীম হাসান(৪৫), জুবায়ের(১৮), জয়নাল(৫০), মোহাম্মদ আলি মাস্টার(৫৫), সাব্বির(২১), জুনায়েদ(১৭),
কুদ্দুস বেপারী(৭০), নাদিম আহমেদ(৪৫), হুমায়ন কবির(৭০), ঈব্রাহিম বিশ্বাস(৪৩), জুলহাস(৩০), দেলোয়ার(৪৮), আঃ মালেক(৬০), কাঞ্চল হাওলাদার(৫০), জামাল(৪০), ইমরান(৩০), আব্দুস সাত্তার(৪০), আব্দুল হান্নান(৫০), শেখ ফরিদ(২১), আব্দুল আজিজ(৪০), মোঃফরিদ(৫৫)
গত ৪ এপ্রিল ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হয়েছিলেন।অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে ৩৩ জন মারা গিয়েছেন, একজন শুধু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ও ৩ জন আইসিওতে রয়েছে।