দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি জ্বর অনুভব করেন। পরদিন সকালে করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। একইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে অবস্থার অবনতি হলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে আইসিইউতে নেয়া হয়, অবশেষে সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মাহবুবে আলম বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট।
এছাড়াও ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিযুক্ত হন। এর আগে ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
১৯৪৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজংয়ের মৌছামন্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ (অনার্স) এবং পাবলিক প্রশাসনে এমএ পাস করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সংবিধান এবং সংসদীয় গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইসিপিএস) থেকে সাংবিধানিক আইন এবং সংসদীয় প্রতিষ্ঠান ও পদ্ধতিতে দুটি ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে অনুশীলন শুরু করেন এবং ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হন। ১৯৯৯ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৫-২০০৬ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।