দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুস ছাত্তার (৪০),নজরুল ইসলাম(৫০),শেখ ফরিদ (২১) নামের আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৩১ জনের মৃত্যু হলো।
বৃহস্পতিবার (১০সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় আব্দুস সাত্তার,বিকেলে নজরুল ইসলাম ও শেখ ফরিদ মারা যায়। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ সংকর পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই পর্যন্ত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লঅস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অগ্নিদগ্ধ ৩৭ জন ভর্তিকৃত রোগীর মধ্যে ৩১ জনের মৃত্য,১ জন সুস্থ্য ও ৫ জন আইসিও তে সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি আছে।
মৃত্য ব্যক্তিরা হলো জুয়েল(৭), মোঃমনির ফরাজী(৩০), মোঃ মোস্তফা কামাল(৩৪), মোঃ রিফাত(১৮), মাইনুদ্দীন (১২), আব্দুল হান্নান(৫০), রাসেল(৩৪), রাশেদ(৩০), নয়ন(২৭), আবুল বাশার মোল্লা(৫১), বাহাউদ্দিন (৫৫), শামীম হাসান (৪৫), জুবায়ের(১৮), জয়নাল(৫০), মোহাম্মদ আলি মাস্টার(৫৫), সাব্বির(২১), জুনায়েদ(১৭), কুদ্দুস বেপারী(৭০), নাদিম আহমেদ(৪৫), হুমায়ন কবির(৭০), ঈব্রাহিম বিশ্বাস(৪৩), জুলহাস(৩০), দেলোয়ার(৪৮), আঃ মালেক(৬০), কাঞ্চল হাওলাদার(৫০), জামাল(৪০), ইমরান(৩০), আব্দুস সাত্তার(৪০), নজরুল ইসলাম(৫০), শেখ ফরিদ(২১)।
গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা অর্ধশতাধিক মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।এ ঘটনায় ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম মৃত্যু হয় মসজিদের মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেনের ৭ বছরের ছেলে জুয়েল এর। মৃতের তালিকায় রয়েছেন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনও। রোববার রাতে মারা যান মসজিদের ইমাম।