দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে অপহৃত শিশুকে তিনদিন পর বন্দর থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১১। এসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই অপহরণকারীকে। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বন্দরের উত্তর লক্ষণখোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব শিশুটিকে উদ্ধার করে।
ধৃতরা হলো- বন্দর থানার লক্ষণখোলা এলাকার মৃত মাজেদ হোসেনের ছেলে মোঃ ইমরান হোসেন ওরফে বাবু ও তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১’র সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে: কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম (পিবিজিএম, পিবিজিএমএস) এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী এলাকার ভাড়া বাসা থেকে মো: মিজানুর রহমানের ২ বছরের শিশুপুত্রকে অপহরণ করা হয়।
পরে মোবাইল ফোনে অপহরণকারীরা শিশুটিকে হত্যার হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে বাবু ও তার স্ত্রী সানজিদা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে বাবুর বোনের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত ভিকটিম শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতদের স্বীকারোক্তির বরত দিয়ে র্যাব জানায়, অপহৃত শিশুটির পিতা মোঃ মিজানুর রহমান পেশায় একজন পিকআপ চালক। ভিকটিমের পরিবার ও অপহরণকারীরা প্রায় এক বছর ধরে পাশাপাশি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। তবে প্রতিবেশি হিসেবে তাদের মধ্যে কোন পরিচয় বা ঘনিষ্ঠতা ছিল না।
ভিকটিমের পিতা পিকআপ গাড়ী চালানোর উদ্দেশ্যে বাহিরে ও তার স্ত্রী সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে অপহরণকারী স্বামী-স্ত্রী পরষ্পর যোগসাজশে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে কৌশলে শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে বন্দর থানার উত্তর লক্ষণখোলা দালাল বাড়ী জামে মসজিদের পাশে অভিযুক্ত মোঃ ইমরান হোসেন বাবুর বোনের ভাড়া বাসায় জিম্মি করে রাখে। অপহরণকারীরা ভিকটিম শিশুটিকে নির্যাতন করে তার মা-বাবাকে মোবাইল ফোনে কান্নার আওয়াজ শুনিয়ে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে। র্যাবের গোয়েন্দা নজরধারীর মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযান চালানো হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।