দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ সাংবাদিকদের মতবিনিময়ে ডেকে নিয়ে কয়েকজন সাংবাদিকদের সংক্ষিপ্ত ভাবে বক্তব্য দেয়া ছাড়া প্রবীণ সাংবাদিকদের কথা বলার সুযোগ না দিয়ে অসম্মান করার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা নবনিযুক্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
সোনারগাঁয়ের প্রবীণ সাংবাদিক ও সোনারগাঁও জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি জাকির হোসেন ঝন্টু বলেন, আমি প্রায় দুই যুগ ধরে সোনারগাঁওয়ে ন্যায় নিষ্ঠার সাথে সাংবাদিকতা করে আসছি। আজকে নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আমন্ত্রণে সোনারগাঁওয়ের সর্বশেষ ইউনিয়ন সাদিপুর থেকে মতবিনিময় সভায় দুটি কথা বলার জন্য এসেছিলাম।
কিন্তু নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেব কয়েকজন সাংবাদিকের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়ার পর আমাকে সহ আরেক প্রবীণ সাংবাদিক দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম মৃধা,দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি ফারুক হোসেন,
দৈনিক নতুন সময় পত্রিকার প্রতিনিধি শাহাজালাল সহ আরও অন্যান্য সাংবাদিকদের কোন বক্তব্য দেয়ার সুযোগ না দিয়ে আমাদের অপমান করেছেন। ইতিপূর্বে সোনারগাঁয়ে যতো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসেছিলেন তারা কেউ সাংবাদিকদের এভাবে ডেকে নিয়ে অমূল্যায়ণ করেননি।
এ বিষয়ে প্রবীণ সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মৃধা বলেন, আমি অসুস্থ তারপরও নতুন ইউএনওর সাথে মতবিনিময়ে এসেছি।কিন্তু দূঃখের বিষয় আমাকে কোন বক্তব্য দিতে দেয়া হলো না।আমি মনে করি এখানে মতবিনিময়ের নামে আমাদের ডেকে নিয়ে সম্মানহানি করেছেন।
এ বিষয়ে দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিনিধি ফারুক হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাদের ডেকে নিয়ে কয়েকজনকে কথা বলার সুযোগ দিয়ে আমাদের কেনো সুযোগ দেয়া হলো না। এই ঘটনায় আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার সময় কম থাকলে আমাদের না ডাকলেও পারতেন।আমাদের ডেকে নিয়ে কেনো অপমান করলেন?
মতবিনিময় সভায় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মনির সহ একাধিক সাংবাদিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,গত ২৫শে আগষ্ট ভোরে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার দায়ে ৬জনকে ২বছর করে কারাদন্ড দেয়ার বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম।
কিন্তু পরবর্তীতে কোন অদৃশ্য কারণে বা বিশেষ সুবিধা পেয়ে ২ বছরের কারাদন্ড বাতিল করে ৫ জনকে ১মাস এবং একজনকে ২মাস কারাদন্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম। একজন নির্বাহী কর্মকর্তা হয়ে সকালে সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দিলেন ২ বছরের কারাদন্ড আবার বিকেলে ২বছরের বদলে কিভাবে ১ মাস বা ২মাস কারাদন্ড দিলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, বালু উত্তোলনের সময় আমি প্রাথমিক ভাবে আটককৃতদের সর্বোচ্চ ২বছরের কারাদন্ডের কথা বলেছিলাম। তবে পরবর্তীতে মানবিক দিক বিবেচনা করে সাজা কমিয়ে ১ মাস ও ১ মাস কারাদন্ড দিয়েছিলাম। তবে আজকের মতবিনিময়ে সাংবাদিকদের সময় কম দেয়ার কারণ হলো আজকে আমি প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকা।
সাংবাদিকদের এভাবে ডেকে আনার পর তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে অপমান করায় সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিনকে অনুরোধ জানিয়েছেন সোনারগাঁওয়ের সাংবাদিক মহল।