দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ডে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা কাজী শামছুল হকের জমি রক্ষার্থে নাসিকের নয়া কৌশলের লিখিত অভিযোগ উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে মেয়র আইভী ও স্থানীয় কাউন্সিলর এনায়েত হোসেনের কাছে লিখিত আবেদন করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেনা ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ওয়ার্ডের উত্তর লক্ষনখোলা ১৮৭/১ এর বাসিন্দা মৃত.আবদুল মমিন ওরফে মো.মমিন মিয়ার রেখে যাওয়া সম্পত্তি লক্ষনখোলা মৌজায় অবস্থিত সিএস খতিয়ান নং ২০৯, এসএ খতিয়ান নং ৫৪৯, আর এস খতিয়ান নং ৩৮৪, যাহার সিএস ও এসএ দাগ নং ৪২,৪৩ ও আর এস দাগ নং ৩৪৪, জমির পরিমান ৫২ শতাংশের কাতে ২৭ শতাংশ।
যাহার চৌহদ্দি উত্তরে আব্দুর গফুর গং, দক্ষিনে দুলাল মিস্ত্রি ও চানমিয়া গং, পশ্চিমে আব্দুল খায়ের, আমজাদ হোসেন ও রেজাউল করিম গং, পুর্বে আব্দুল হাই গং অন্তুভুক্ত রয়েছে।
আমার মরহুম পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তির উপর দিয়েই সিটি কর্পোরেশন জোড়পুর্বক অবৈধভাবে রাস্তা নির্মানের কাজ হাতে নিয়েছে। পাশেই অন্যান্য মালিকাধীন জমি থাকা সত্ত্বেও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা কাজী শামছুল হকের পৃষ্টপোষকতায় একটি অসহায় পরিবারের উপর এমন জঘন্যতম কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে নাসিক কর্তৃপক্ষ।
মৃত.আবদুল মমিন ওরফে মো.মমিন মিয়ার ছেলে সোহেল মেহেদী জানান, যেহেতু আমাদের বাড়ির আশপাশে আরও মালিকানা জমি রয়েছে সেখানে তাদেরকে বহাল তবিয়তে রেখে আমাদের জমির উপর দিয়েই নাসিক কর্তৃপক্ষ এ কাজটি করছে।
তিনি আরও বলেন,যেহেতু জনস্বার্থের ব্যবহারের সুবিধার্থে নেয়া হচ্ছে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান করবো আমার আশেপাশের সকল মালিকানাধীন ভুমি থেকে রাস্তা ও ড্রেন নির্মানের জন্য জমি সংগৃহিত করা হোক।
আশপাশের প্রতিটি মালিকের কাছ থেকে জমি নিয়ে রাস্তাসহ ড্রেন নির্মানের সম্পন্ন করিলে আমিসহ এলাকার প্রতিটি মানুষই উপকৃত হবো। কারন আমার মরহুম পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তির অংশীদার হিসেবে আমরা ২ ভাই ও এক বোনসহ আমার মা হাসিনা বেগম রয়েছেন। যাতে ভবিষ্যতে বন্টন নামাতে আমাদের সুবিধা হবে।