দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ভবনের ছাদে পাওয়া লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ।নিহতের নাম সুমন (৩২)। নিহতের স্ত্রী ডলি আক্তার (৩৬) তার প্রথম স্বামীর সাথে মিলে ২য় স্বামী সুমনকে হত্যা করেছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইশতিয়াক রাসেল বলেন, প্রথমে আমরা নিহত সুমনের স্ত্রী ডলি আক্তারকে (৩৬) সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে গ্রেফতার করি। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চাঁদপুর জেলার মতলব থানা এলাকা থেকে মীর আব্দুস সালামের ছেলে মুজাহিদ মীর লিমন (১৮) ও সেকেন্দার আলী মজুমদারের ছেলে আলামিনকে (৪০) গ্রেফতার করি।
তবে ডলির আগের স্বামী মীর আব্দুস সালাম পলাতক রয়েছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা পরকীয়ার জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। ডলি নিহত সুমনের স্ত্রী।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুমনের অজ্ঞাতে আগের স্বামী আব্দুস সালামের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে ডলিকে ডিভোর্স দিতে সুমনকে চাপ দেন আব্দুস সালাম। সুমন তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে অস্বীকৃতি জানালে আব্দুস সালাম ও তার ছেলে মুজাহিদ মীর লিমন, আলামিন ও ডলি মিলে সুমনকে তারই সিদ্ধিরগঞ্জের কলসী বিল্ডিংয়ের ওই বাসার পাঁচতলায় খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় ট্যাবলেট সেবন করে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। হত্যাকাণ্ডের পর তারা মরদেহ গুম করার পরিকল্পনা করেও ব্যর্থ হয়ে বাড়ির ছাদে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
নিহত সুমনের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার নতুন বাজার এলাকায়। তার বাবার নাম সামছু শেখ।
গত শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় হাবিবুল্লাহ হবুল মালিকানাধীন কলসী বিল্ডিংয়ের পাঁচতলা ভবনের ছাদে স্থানীয় লোকজন মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।