দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: আগামী ৪ অক্টোবর থেকে জেলার ৫টি উপজেলায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন -২০২০ পক্ষকাল ভেদে (২ সপ্তাহে কর্মদিবসে) সাংবাদিকদের জন্য একটি ওরিয়েন্টশণ কোস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এই ওরিয়েন্টশণ কোর্সটি।
সিভিল সার্জন ড.মোহাম্মদ ইমতিয়াজ সাংবাদিকদের বলেন,জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ৪ অক্টোবর থেকে পক্ষকাল ব্যাপী (২ সপ্তাহের কর্মদিবস সমূহে) জেলার ৫টি উপজেলায়(নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ব্যতিত) ৬-১১ মাসের ৩৭, ৩৯৩ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আই ইউপি) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সের ২,৯০,৫৮০ জন শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল(২ লাখ আই ইউ) খাওয়ানো হবে। মোট ৩,২৭,৯৭৩ জন শিশুকে এক যোগে খাওয়ানো হবে এ টিকা।
সিটি কর্পোরেশন ব্যতিত স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে ১১২৮টি কেন্দ্র থেকে সরকারি/বেসরকারি /বিভিন্ন সংস্থা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মী, শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নে পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ক্যাম্পেইন এর জন্য জেলা অবহিতকরণ ও কর্মপরিকল্পনা সভা সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে উপজেলায় কর্মরত সকল বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে উপজেলা এডভোকেসী সভা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগীয় কর্মীদের সমন্বয়ে ওরিয়েন্টশণ ও প্লানিং সভা সম্পূর্ণ করেছি আমরা। ক্যাম্পেইন সফল করতে পাড়া মহল্লা গুলোতে জুম্মার নামাজে খুৎবায় মুসল্লিদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল অবহিত করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও আপনারা এই পক্ষকালের ভিটামিন এ প্লাসে ক্যাম্পেইন প্রচারে সহায়তা করবেন।
তিনি আরো বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল সম্পূর্ণ নিরাপদ এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবার তেমন কোন ঝুঁকি নেই। ভিটামিন এ খাওয়ানোর ফলে কিছু শিশুদের কিছুটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। শিশু বমি করতে পারে যদি শিশু অসুস্থ্য থাকে। এর কারন শিশুরা যে খাদ্য খায় তার মধ্যে রং থাকে এর ফলে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়।
৫ বছরের নিচে শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে এবং রোগে আক্রান্ত হয়। তাই তাদের বয়স ভেদে ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানো হয় বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে। আগে ভিটামিনের অভাবে মানুষ বিভিন্ন রোগ দেখা যেতো কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন এ গ্রহন করে। আপনারা যদি ভিটামিন এ নিয়ে কোন প্রকার গুজব পান তাহলে আপনার নিকটবর্তী উপজেলা অফিসার বা আমাদের জানাবেন।
জেলা তথ্য অফিসার মোঃ সিরাজউদদৌল্লা খান বলেন,কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতির কারনে এবার জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন একটু বিভিন্ন ভিন্ন।আগে একদিনে দেশের সকল শিশুদের ভিটামিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হতো কিন্তু এবার পক্ষাকাল ভিত্তিতে খাওয়ানো হবে।
আমি একজন সরকারের প্রচার কর্মী। তবে আপনারা হচ্ছে জনগনের প্রচার কর্মী। আপনেরা ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এমন ভাবে প্রচার করবেন যাতে একটা শিশুও ভিটামিন এ খাওয়ানো থেকে বঞ্চিত না হয়।
এর আগে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস এর বিভিন্ন উপকারিতা ও শিশুদের ক্যাপসুল এর অভাবে কি কি সমস্যা হতে পারে তার উপর একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করেন সাভিল্যান্স এন্ড ইমুনাইজেশন মেডিকেল অফিসার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ড.ফারহানা রহমান।
জাতীয় পুষ্টি সেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত হয় ওরিয়েন্টেশন। সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোঃ মহিউদ্দীন মিয়া ও জেলা ইপিআই সুপারিন্টেনডেন্ট সিভিল সার্জন অফিসার মোঃ লূৎফর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক স্বপন কুমার দেবনাথ,জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোঃ শাকির হোসেন,মেডিকেল অফিসার ড.শিল্পী আক্তার,সিসিবি মোঃ আনোয়ার হোসেন,মোঃ শওকত জামান প্রমূখ।