দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, দেবোত্তর সম্পত্তির মালিক হচ্ছে জনগণ। কাজেই এই সম্পত্তি নিয়ে প্রভাব বিস্তার করা অন্যায়। যারা করছেন তাদের বিরুদ্ধে সারাদেশেই আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বন্ধ, দখলকৃত দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার, মন্দির, মঠ, গীর্জা, প্যাগোডায় হামলা বন্ধসহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে পূজা উদযাপন ও ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচির ব্যানার বদলে যায় কিছুক্ষন পরেই। পরবর্তীতে নাসিক মেয়র আইভী ও তার পরিবারের লোকজন জিউস পুকুর দখল করেছেন এমন অভিযোগ সম্বলিত ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
দুপুর পৌনে দুইটায় শুরু হওয়া এ কর্মসূচি শেষ হয় চারটার দিকে। অবস্থান কর্মসূচি শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেন নেতৃবৃন্দ।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার সাহার সভাপতিত্বে স্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দল শীল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুন দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহা, রিপন ভাওয়ালসহ পূজা উদযাপন ও ঐক্য পরিষদের বিভিন্ন উপজেলা ও থানা কমিটির নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন।
খোকন সাহা বলেন, ‘নিজেকে দানবীর দাবি করে মসজিদ, মন্দিরের জায়গা দখল করলে আওয়ামী লীগ সহ্য করবে না। জিউস পুকুরের জায়গা দখল করেছেন মেয়র আইভী ও তার আত্মীয়-স্বজন। এই বিষয়টি আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানাবো। হিন্দুর সম্পত্তি যারা দখল করেন তাদের অবশ্যই আমার নেত্রী নমিনেশন দেবেন না। রক্ত দিয়ে হলেও জিউস পুকুরের জায়গা রক্ষা করবো। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই পুকুর নিয়ে কথা বলবো।’