দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: তাজরীন ফ্যাশনস লি: এর অগ্নিকাণ্ডের ৮ বছর উপলক্ষে স্মরণ সভা ও মানববন্ধন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন।
মঙ্গলাবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ৩ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। সে সময় মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি জুয়েল প্রধান এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন-মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সবুজ সিকদার, সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া কবির, সহ-সভাপতি বিশাল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব হসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. কবির হোসেন,
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাধারণ সম্পাদক বিউটি আক্তার, বন্দর থানার শ্রমিকলীগ সভাপতি মোজাম্মেল হক, বিআইডব্লিউটিসি জাকির হোসেন চুন্নু মাস্টার সহ আরও অনেকে।
সাধারণ সম্পাদক সবুজ সিকদার বলেন, আপনারা যানেন আজ থেকে ৮ বছর আগে। আজকের দিনে ওই তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১৩ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষ না, সারাবিশ্বের মানুষ শোক আহত হয়েছিল। সে অগ্নিকাণ্ডে ১১৩ জন শ্রমিকে তারা পুরে মারেনি। পুরে মেরেছে বাংলাদেশের ৪০ লাখ শ্রমিকদের আত্ম-অধিকারকে।
গার্মেন্টস শ্রমিকরা যে সংগ্রাম করেছিল ও দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছিল জীবীকা নির্বাহের জন্য কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবীতে। কিন্তু তাদের সেই দাবী আজও পর্যন্ত মানা হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমরা হতাশ হচ্ছি জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আশার পরেও এই তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেডে সহ বিভিন্ন গার্মেন্টস গুলাতে, যেখানে শ্রমিকরা আহত ও নিহত হয়েছে। তাদের কোন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েনি আজও পর্যন্ত। আমি প্রধানমন্ত্রী ও বিকেএমিকে আবেদন করছি আপনারা নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন এই করোনার মধ্যেও গার্মেন্টস মালিকদের জন্য সরকার ১ হাজার কোটি টাকা প্রযোজনা ঘোষণা করেছিল। তারপরেও গার্মেন্টস মালিকেরা হাজার হাজার শ্রমিকদের ছাটাই করে দিয়েছে। কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন আজও ঘটেনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্বীকার করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেক হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করে দিয়েছে। কিন্তু তার পাশাপাশি ওই দেলোয়ারগণেরা, ওই তাকদিরের মালিকেরা আমাদের শ্রমিকেদের ভাগ্য নিয়ে যে হলি খেলেছেন। শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে দেওয়ার ঘরে তুলেছে।
সেই দেলোয়ারেরা আজ পাজারু গাড়ি দিয়ে ঘুরে আর আমার শ্রমিকেরা তাদের অধিকারের জন্য ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করে। এটা বাংলাদেশে হতে পারে না। এটা অন্যায়। আমরা চাই দেলোয়ার যতই শক্তিশালী হোক না কেনো। বাংলাদেশের আইনের কাছে আমরা বিচার দাবী করেন।