দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: আগামী বছরের শেষের দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সেই দিক বিবেচনা করে সম্ভব্য প্রার্থীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্বাচনে অংশগ্রহন করার জন্য।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭ টি ওয়ার্ডেই চলছে এই প্রস্তুতি। তবে ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৬টি ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলররা অংশ নিবেন পরবর্তী নির্বাচনে। কারন তাদের কেউই এখন পযর্ন্ত নির্বাচন না করার ঘোষনা দেননি।
এদিকে গত নির্বাচন চলাকালিন সময় ১৩নং ওয়ার্ডে ভোটারদের কাছে মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও রবিউল হোসেন ওয়াদা দিয়েছেন পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহন না করার। আলোচনা আর সমালোচনা নিয়েই টানা ৩ বারের মত কাউন্সিলর পদে খোরশেদের জয় আর দুই বার তার প্রতিদন্ধিতা করে পরাজিত হয়েছেন রবিউল হোসেন।
নাসিক ১৩নং ওয়ার্ডে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের লড়াই হলেও তাদের দেয়া ওয়াদা মতে এখন সেটা শুধুই অতীত। তাই ওয়ার্ডবাসী অপেক্ষায় রয়েছেন নতুন মুখের। কে হচ্ছেন আগামী নির্বাচনে নাসিক ১৩নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর।
এবারের নাসিক নির্বাচনে আলোচনায় রয়েছেন বেশ কিছু নতুন ও উদীয়মান তরুন। এদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন আনোয়ার মাহমুদ বকুল, শাহ ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ, ইব্রাহীম আদহাম খান জুম্মা, আলমগীর আজিজ ইমন।
এই আলোচনার মধ্যে থাকা আনোয়ার মাহমুদ বকুল তৎকালিন পৌরসভা নির্বাচনে বর্তমান ১৩ (পুর্বে ৪নং ওয়ার্ডে) কমিশনার পদে খোরশেদের সাথে অল্প ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এর পর থেকে তিনি আর নির্বাচনে অংশগ্রহন করেননি। তবে খোরশেদ ও রবিউল হোসেন এবারের নির্বাচনে ভোটাদের কাছে ওয়াদা করেছেন প্রার্থী না হওয়ার। সেই ক্ষেত্রে সুযোগটি কতটুকু লুফে নিবেন সেটা এখন দেখার বিষয়।
অপরদিকে, শাহ ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ প্রতিবারই নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহন করলেও গত নির্বাচনে জনসম্মুখে রবিউলের আশ্বাসে সে নির্বাচনে সড়ে দাড়ান। তবে এবার নির্বাচন করার জন্য কতটুকু প্রস্তুত সেটা এখনও বুঝা যাচ্ছে না। তবে এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহন করার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে, ইব্রাহীম আদহাম খান জুম্মা উদীয়মান তরুন ও সামাজিক সেবামূলক সংগঠক। ইতিমধ্যে সামাজিক সংগঠন নারায়ণগঞ্জ ইয়থ ক্লাব এর মাধ্যমে সেবা করে যাচ্ছেন বহুদিন ধরে। করোনা কালিন লকডাউনের সময় তার সংগঠনের মাধ্যমে নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন অসহায় মানুষের সেবায়। তার কর্মকান্ডেই ওয়ার্ডবাসী ধারনা করে নিচ্ছেন আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দেখা যাবে ভোটের লড়াইয়ের মাঠে।
এদিকে, সামাজিক সেবা মূলক কাজের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে ২০১৯ ও ২০২০ এ জাতিসংঘের অংগ সংগঠনগুলির আমন্ত্রনে থাইল্যান্ড এ ‘ফিউচার লিডার কংগ্রেস ২০১৯ ও মালায়শিয়ায় গ্লোবাল গোলস সামিট-২০২০ এ অংশগ্রহন করেন।
সম্প্রতি, নারায়ণগঞ্জ থেকে চান্সপ্রাপ্ত বিসিএস ক্যাডারদের ব্যবসায়ী সংগঠন এর সাথে সমন্বয় করে সংবর্ধনা দিয়ে তাক লাগান।
এছাড়াও জনপ্রতিনিধি না হয়েও প্রতি বছর করছেন মশক নিধন কার্যক্রম, করোনায় ১০,০০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিজ উদ্যোগে বিতরন করেন। সেই সাথে ৯৫০ জন পরিবারকে খাদ্য সহযোগীতায় এগিয়ে আসেন।
অপরদিকে, আলমগীর আজিজ ইমন পেশাগত ভাবে সাংবাদিকতা করলেও একজন ক্রীড়া প্রেমি ব্যক্তি। এলাকার যুবসমাজকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন সময় খেলার আয়োজন করেন। সেখানে তিনি নিজেও খেলোয়ারদের তালিকায় থেকে মাঠ দাব্রিয়ে বেড়ান। সাংবাদিকতার পাশাপাশি বাবার রেখে যাওয়া ব্যবসা পরিচালনা করছেন। বিভিন্ন সময় অসহায় পরিবার, মাদ্রার্সার ছাত্রদের পাশে থাকছেন নিরবে।
এবার করোনা কালিন সময় ৫০টি মসজিদে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরন করেছেন। সেই সাথে প্রায় ২ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন এবং ঈদ সামগ্রী বিতরন করেছেন। এছাড়াও গোপনে সেবা করে যাচ্ছেন অসহায় মানুষ গুলোকে। তবে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।