দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে চলতি মাসের ৯ তারিখে। বিএনপিপন্থী আইনজীবিরা ফোরামের স্বার্থে এবার সমালোচনার উর্ধ্বে স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজধারী আইনজীবী নেতাদের চান তাদের প্রতিনিধি হিসেবে । তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা ভোটের লড়াইয়ে জয়ের জন্য শুরু করেছেন নানা কৌশল। আর সব কিছু ঠিক থাকলে সেই দিন ভোটারদের সিদ্ধান্তই হবে চুড়ান্ত।
এবার নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের নির্বাচনে ৩টি প্যানেল অংশগ্রহন করছেন। তবে দুটি প্যানেলে ৫ জন করে প্রার্থী থাকলেও অপর ১টি শুধুই একজন রয়েছেন।
দুটি প্যানেলের ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে সভাপতি এ্যাড. আব্দুল হামিদ ভাষানী যিনি স্পষ্টবাদী হিসেবেই পরিচিত, রয়েছেন এ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকারের বলয়ে। অপর প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী এ্যাড. সরকার হুমায়ুন যার নামের আগেও ও পরে নানা সমালোচনার ঝড় রয়েছে। যিনি ব্যক্তি স্বার্থে সব কিছুই ত্যাগ করেছেন বিগদ দিনে। আর যিনি মুলধারার রাজনীতি থেকে ছিটকে পরা এ্যাড. সাখাওয়াতের পন্থী হিসেবেও পরিচিত।।যার প্রমান সাধারণ আইনজীবি থেকে শুরু করে স্থানীয় মিডিয়া।
অপরদিকে দুই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদের একটিতে রয়েছেন এ্যাড. আজিজ আল মামুন যিনি দক্ষতার সাথে নিজের যোগ্যতার প্রমান দিয়ে যাচ্ছেন দলের দু:সময়েও দলের আইনজীবিদের কাছে। অন্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়া এ্যাড. জাকির রুপগঞ্জে তিনি আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান হিসেবেই বেশ পরিচিত। আদালতপাড়ায় নির্বাচন ইস্যুতেই রাজনীতি করে থাকেন। শুধু নির্বাচন আসলেই সরব হয়ে ওঠেন পদ পদবীর লোভে।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা যিনি ব্যক্তিগত ভাবে আদালতপাড়ার স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজ নিয়েই আইনজীবি পেশায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আইনী পেশার পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি রাজপথের সক্রিয় নেতা হিসেবেও নিজের অবস্থান তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। দায়িত্ব পালন করছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে। জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী এক আপোষহীনের তালিকায় যিনি রয়েছেন সবার নজরে। আর আইনীপেশা ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তাকে নিয়ে নেই কোন প্রকার বিতর্কিত কর্মকান্ড।
আর অন্য প্যানেলে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা এ্যাড. আনোয়া প্রধান যিনি জেলা মৎসজীবি দলের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এ্যাড. সাখাওয়াত সমর্থিত প্রার্থী ও খুব ঘনিষ্টজন। আইনীপেশায় আলোচনা ও সমালোচনা থাকলেও এর বাহিরে রয়েছে সমিতির নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ। যিনি দলের চেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেনকে। এছাড়াও তার এলাকায় আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে বাজার থেকে দৈনিক চাঁদাবাজী করার অভিযোগ।
সাংগঠনিক পদে একটি প্যানেলে রয়েছেন এ্যাড. মো: আলী হোসাইন যিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতপাড়ায় একজন নম্র ও ভদ্র আইনজীবী হিসেবেই পরিচিত। যার দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে নেই কোন প্রকার বিতর্কিত কর্মকান্ড। সাধারন সমর্থকদের সার্পোট ও আস্থায় এবং সিনিয়র আইনজীবীদেরও সুনজরে আছেতার প্রতি।
অপরদিকে অন্য প্যানেলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশগ্রহন করছেন এ্যাড. ওমর ফারুক নয়ন যিনি পরকীয়ার কারনে আদালতপাড়ায় গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন এক নারীর হাতে। যার রয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা দুটোই।
এছাড়াও একটি প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে একাই দুই প্যানেলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এ্যাড. সুমন মিয়া। যিনি ব্যক্তি ইমেজ আর আইনী পেশার বাহিরেও বিএনপির রাজনীতিতে রয়েছেন সক্রিয় ভাবে।
এখন দেখার বিষয় সব কিছুর পরও ভোটারদের ভোটাধিকার প্রোয়োগে কারা হচ্ছেন আগামী দিনে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের কর্ণধার।