দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ বন্দরে কমলা(৬২) নামে এক বৃদ্ধ নারীর শেষ সম্বল কাফনের জমানো প্রায় ২০ হাজার টাকাসহ ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে বন্দর থানার এস আই শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বন্দরের দক্ষিণ কলাবাগ খালপাড় এলাকার ইউসুফ আলী মিয়ার ছেলে শান্ত ওরফে হাসমতের বাড়িতে অভিযান চালানোর নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে, এই বৃদ্ধ নারীর শেষ সম্বল কাফনের কাপড়ের জমানো ২০ হাজার টাকাসহ মোট ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বন্দর থানার এস আই শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়টি আমি কিছুটা শুনেছি তবে আমি এধরনের কাজের সাথে জড়িত নই বলে জানান।
অপর দিকে, এস আই শহিদুল ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত থাকা পুলিশে সোর্স ও ভুক্তভোগীর পরিবারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত রয়েছে বলে জানান।
কান্ত ওরফে হাসমত গণমাধ্যমকে জানান, আমি গার্মেন্টসে কাজ করি, গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে কাজ শেষে পাঁচ বন্ধু আহাম্মদ, বাপ্পী, শিপন, জুয়েল, জামানসহ আমরা বাড়িতে আসে। তখন প্রায় দেড়টা বাজে তখন সময় কাটানোর জন্য বন্ধুরা মিলে রুমের ভিতরে তাশ খেলতে বসলে ঠিক সেই মুহুর্তে পুলিশ আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করেই গালমন্দ দিতে থাকে। তখন কোন কিছু জিঙ্গেসা না করেই ঘরের ভিতরে তল্লাশি শুরু করে।
পরে কিছু তাশ পায় এবং জুয়ারী বলে চালান দিবে হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে আমার বোনের ভ্যাগের ভিতরে থাকা ৭৫ হাজার টাকা নিয়েও টানাটানি করতে থাকে। কিন্তু বুধবার ব্যাংক থেকে ৭৫ হাজার টাকা তুলে নিয়ে আসে ঘর তোলার জন্য এবং সাথে ব্যাংকের চেক বই ছিলো। পুলিশ কোন কথা বিশ্বাস না করে বলে এগুলো সব জুয়া খেলার টাকা। পরে ভ্যাগ থেকে ২৫ হাজার টাকা দিতে বলে নয়তো চালান দিবো বলে হুমকি প্রদান করে। তখন কোন উপায় না পেয়ে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে দেই।
শান্ত আরও জানান, পাশের রুমে আমার বৃদ্ধা বাবা আর মা থাকে। পুলিশ তখন তাদের রুমেও তল্লাশি করে। আমরা মা সংসার চালানোর টাকা থেকে আয় করে নিজের মৃত্যুর জন্য কাফনের কাপড়ের টাকা জমায়। কিন্তু সেই কাফনের জমানো টাকা নাকি জুয়া খেলার টাকা এ বলে আমার বৃদ্ধা মা কে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। কাফনের জমানো টাকা প্রায় ২০ হাজার টাকা ছিলো সেখান থেকেও জোড় করে টাকা হাতিয়ে নেয় বন্দর থানা পুলিশ।
আমার মা এখনও সেই কাফনের জমানো টাকার জন্য চোঁখের পানি ফেলতাছে। এছাড়াও আমার রুমের ভিতরে জমানো টাকা ছিল এবং বৃহস্পতিবার রাতে আমি কাজের বিল পাই সে টাকাও সব নিয়ে গেছেন পুলিশ। আমার মায়ের জমানো টাকা সহ প্রায় ঘর থেকে ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.ফখরুদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।