দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: সীমানা জটিলতা নিয়ে তারেক রহমান ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম লমগীর সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই গোলজার হোসেন খান এখন মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিবের দায়িত্বে এসেছেন। আর তাকে কমিটিতে আনতে সহযোগীতা করেন খোদ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত খান। শুধু তাই নয় মূল দলের বাইরে থেকে রাজনীতি করা এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেনের নানা কর্মসূচিতে পাশে দেখা যায় গোলজারকে।
এদিকে, বিএনপির কমিটির বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরই স্থানীয় মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে এর পিছনের মূল হোতা সাখাওয়াতকে নিয়ে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে নিজের অবস্থান হওয়ার পর থেকে ফায়দা হাসিলের জন্য একের পর এক বির্তকের জন্ম দিচ্ছেন সাখাওয়াত। বিগত দিনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের সময় বিএনপির টিকেট নেয়ার পর ক্ষমতাসীনদের সাথে আতাঁত করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয় মোটা অংকের টাকার বিনিময় দল সহ নেতাকর্মীদের সাথে বৈঈমানী করার কথাও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত প্যানেলকে হারাতে মোটা অংক খসিয়েছেন ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে। সেই সাথে আদালত পাড়ায় আওয়ামী আইনজীবিদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে নানা সমালোচনার কান্ডাড়ী এ্যাড. সাখাওয়াত স্থানীয় বিএনপিকে সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল করতেই ক্ষমতাসীনদের সাথে আতাত করে নিজেদের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করে যাচ্ছেন ধারাবাহিকতার সহিত। আর সেই কোন্দলের সূচনা করেন মহানগর বিএনপির মূলধারার বাইরে রাজনীতি শুরু করে। এরপর থেকে তার কোন্দলের ধারাবাহিকতা শুরু হয়। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, ছাত্র দল সহ অন্যান্য সংগঠনের বিরুদ্ধে বিভক্তির ধারা অব্যাহত রাখেন।
এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির রাজনীতিকে সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল করতেই গোলজার হোসেনকে দিয়ে দলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করানোর অভিযোগ আসে। আর এই ধারাবাহিকতা আদালতপাড়াতেও বিস্তার করেন। এখন সেখানেও নিজেদের মধ্যেও বিভক্তি পাকাপোক্ত করে নেন সাখাওয়াত হোসেন।
এদিকে, গোলজার হোসেন মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব হওয়ার পর তাকে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সাখাওয়াতের উপস্থিতি বুঝতে আর কিছু বাকি থাকে না।