দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: সারা দেশের ন্যায় বিগত দিনে গণতন্ত্র উদ্ধার ও সরকার পতন আন্দোলনের নামে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি সফলতা ছিনিয়ে আনতে হয়েছে একেবারেই ব্যর্থ। পাশাপাশি দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির নামে যে সংগ্রাম করেছে সেখানেও ফলা ফল শুন্য। ঢাকার পাশ্বর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বৃহৎ এই দলের নেতাদের মধ্যে ব্যক্তি কেন্দ্রীক থেকে শুরু করে সংগঠনেরও রয়েছে কোন্দল।
পাশাপাশি দলের মধ্যে গুরুত্বপুর্ন পদে থেকেও অনেকেই ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে চলছেন বেশ আরাম আয়েশে। আর তাদের আয়েশি জীবনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই সক্ষমতাশীনদের দেয়া প্রেসক্রিপশনে সুবিধাবাদীরা দলের মধ্যে কোন্দলের বিস্তার করেই যাচ্ছেন বলে নেতাকর্মীদের অভিযোগের কমতি নেই। যার ফলশ্রুতিতে সুবিধা বাদীদের ভীড়ে অনেকটাই বেকায়দায় বিএনপির প্রকৃত নেতা ও কর্মীরা।
স্থানীয় মিডিয়া ও দলীয় নেতাকর্মীদের দেয়া তথ্যে জানা যায়, প্রায় ১২ বছর বিএনপি ক্ষমতার বাইরে থাকলেও দলের মধ্যে থাকা অনেক নেতাই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিনত হয়েছেন। সেই সাথে নিজেদের নির্যাতিত নেতার তালিকায় রাখতে ক্ষমতাশীনদের প্রেসক্রিপশনে রাজনৈতিক মামলার আসামীও হয়েছেন বহুবার।
অপরদিকে, যে সকল নেতারা বিএনপির বাইরে ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত না করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধেই সুবিধা বাদীরা ক্ষমতাশীনদের প্রেসক্রিপশনে উঠে পরে লেগেছেন বলে দলের নেতা কর্মীদের দাবি।
তারা আরও দাবি করে বলেন, এই সকল সুবিধা বাদীরা সব সময়ই দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রর নকশা করে যাচ্ছেন। তাদের এই কর্মকান্ডের কারনেই বিএনপির তৃণমূল বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। তবে গুটি কয়েক সুবিধাবাদীরা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকলেও।
বিএনপির মত একটি বৃহৎ দল সাময়িক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও সেটা হবে ক্ষন্ন স্থায়ী। সেটার জন্য দলের ভীত দুর্বল হবে না। কারন বিএনপিতে এখনও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশের সৈনিকরা কাজ করে যাচ্ছেন। আগামীতেও দলের প্রয়োজনে সব সময় কাজ করবেন।