দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: স্বামীর অনুউপস্থিতে গভীর রাতে প্রেমিককে বাড়ীতে ডেকে এনে নোংরামি করার সময় গৃহবধূ জুঁইসহ তার পরকিয়া প্রেমিক সৈকতকে হাতে নাতে আটক করার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুন) ভোরে বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ কবিলের মোড় এলাকার মনির সরদারের ভাড়াটিয়া বাড়ীতে এ ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় গৃহবধূ জুঁই তার পরকিয়া প্রেমিক সৈকত (২৮)কে ছাড়ানোর জন্য স্বামী খোকনের উপর হামলা চালালে ওই সময় তার ডাক চিৎকারে বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা লম্পট সৈকতকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
আটককৃত সৈকত পিরোজপুর জেলার রাজাপুর থানার সাঠুরিয়া গ্রামের সাকু মিয়া ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্বামী খোকন মিয়া থানায় কোন অভিযোগ দায়ের না করায় পুলিশ আটককৃত লম্পট সৈকতকে ৭ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে।
আটককৃত লম্পট সৈকত জানায়, সে ১ সন্তারের জনক। তার স্ত্রী রয়েছে। সে রাজধানীর ২নং মীরপুরে রোজিনা পেট্রোল পাম্পের কর্মচারী। আমার সাথে গৃহবধূ জুঁইয়ের দীর্ঘদিন যাবত সম্পর্ক। গৃহবধূ জুঁইয়ের স্বামী খোকন একটি মামলায় ওয়ারেন্টভূক্ত হওয়ায় সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। স্বামী বাসায় নেই তাই তাকে জুঁই ফোন করে এনেছে।
সে রাত ৩টায় জুঁইয়ের বাসার সামনে এলে জুঁই ৩য় তলা থেকে গেইটের চাবি নিচে ফেলে সে গেইট খুলে জুঁইয়ের ঘরে যায়। ৪টার দিয়ে জুঁইয়ের স্বামী বাসায় চলে আসে। এ সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তখন সে উপায় না পেয়ে ৫ তলা ভবনের ছাদে গিয়ে উঠে। এর মধ্যে আশপাশের লোকজন এসে তাকে হাতে নাতে ধরে মারধর করে পুলিশে দেয়।
এ ব্যপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ মিয়া জানান, তার মেয়েকে বদনাম করার জন্য জামাই খোকন ষড়যন্ত্র করেছে। আটককৃত সৈকত জামাতা খোকনের দুরসম্পর্কের আত্বীয়।
এ ব্যপারে বন্দর থানার ওসি তদন্ত তারিকুল ইসলাম জানান, আমরা বেলা ২টা পর্যন্ত গৃহবধূর স্বামী ও পিতার জন্য অপেক্ষা করি। তারা কেহ কোন প্রকার অভিযোগ না করায় বাধ্য হয়ে লম্পট সৈকতকে ৩৪ ধারায় আদালতে পাঠাতে হয়েছে।