দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চ্যুয়াল কর্মসূচি পন্ড করতে কালাম সমর্থকদের উপর এ্যাড. সাখাওয়াতের নেতৃত্বে হামলা করে তার সমর্থকরা। পরে কালাম সমর্থকদের রোশানলে পরে গণধোলাই থেকে বাঁচতে সিনিয়র নেতাদের সহযোগীতা নিয়ে কর্মসূচি স্থল ত্যাগ করে বিতর্র্কিত নেতা সাখাওয়াত সমর্থকরা।
এদিকে, মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালামের অনুপস্থিতিতে তারেক রহমানের ভার্চ্যুয়াল কর্মসূচি পন্ড করতে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে হঠাৎ করেই সাখাওয়াত তার সমর্থকদের নিয়ে উপস্থিত হন। এর কিছুক্ষন পরেই কর্মসূচি পন্ড করতে শুরু হয় সাখাওয়াত সমর্থকদের ধস্তাধস্তি। এক পর্যায়ে সাখাওয়াতের কর্মী পারভেজ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এ সময় পারভেজ বলে উঠেন, মমিনুল্লাহ ডেবিডকেই চু…নাই, তরা তো…।
এ সময় এ্যাড. কালাম সমর্থকরা ক্ষেপে উঠে পরে তাদের রোশানল ও গণধোলাই থেকে বাঁচতে সিনিয়র নেতাদের সহযোগীতায় কর্মসূচি স্থল ত্যাগ করে তারা। এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালামের নেতৃত্বে সংগঠনটি দলীয় কর্মসূচিগুলো পালন করে আসলেও সেখানে এ্যাড. সাখাওয়াত উপস্থিত থাকতেন না। দলছুট নেতাদের নিয়ে মহানগর বিএনপির ব্যানারে আলাদা ভাবে কর্মসূচি পালন করলেও কেন্দ্রীয় নির্দেশে সেটাও এখন বন্ধ। এরপর নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ব্যানারে জেলা ও মহানগর বিএনপির অঙ্গসংগঠনের কিছু দলছুট নেতাদের কাঁধে ভর করে তাদের সহযোগীতায় পালন করছেন কর্মসূচি।
এছাড়াও এ্যাড. সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, বিগত সিটি নির্বাচনে দলের টিকেট নিয়ে ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে করেছেন দলের নেতাকর্মীদের সাথে বেঈমানী। আর নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে ক্ষমতাশীনদের প্রেসক্রিপশনে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা আদালতপাড়ায় বিএনপিপন্থি আইনজীবিদের করেছেন নিষ্কৃয়। বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতিতে বিএনপিপন্থি আইনজীবিদের নেই কোন অবস্থান।
তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের মধ্যে বিভক্তিকে প্রকাশ্যে রুপ দিতে নির্বাচনের নামে করেছেন বিভেদের সৃষ্টি। আর মহানগর বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টি করতে না পেরে সীমানা জটিলতা দেখিয়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে তার লোক দিয়ে মামলা ঠুকে দেন আদালতে।
ক্ষমতাশীনদের প্রেসক্রিপশনে বিএনপির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েও বার বার ব্যর্থ হচ্ছেন সমালোচিত এই নেতা এ্যাড. সাখাওয়াত। আর তার ব্যর্থতার কারনে হয়তোবা কোন সময় ক্ষমশীনরাও একদিন নিবেন তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে। এমনটাই মনে করছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির তৃণমূল।