দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ঘরে থেকে তুলে নিয়ে যুবতীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম মাসদাইর বাড়ৈইভোগ এলাকার কথিত ছাত্রলীগ নেতা রানা ও সবুজ মন্ডলের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও অদৃশ্য ক্ষমতার বলে এখন বহাল তবিয়তে উক্ত আসামীরা।
রানা ও সবুজের বিরুদ্ধে পশ্চিম মাসদাইর ফারিহা গার্মেন্টস সংলগ্ন এলাকার ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী শাওন আক্তার ও শ্লীলতাহানীর শিকার রুবিনা ( ছদ্মনাম) বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
এদিকে পশ্চিম মাসদাইরের খানকা মোড়,বাড়ৈভোগ,গাইবান্ধা বাজার,আদর্শনগর নগর এলাকায় মুর্তিয়মান আতংক হিসেবে সর্বজন পরিচিত কথিত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ইসলাম রানা,তার ফুফাতো ভাই হৃদয় এবং নবগঠিত ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সদস্য রঞ্জিত মন্ডলের শ্যালক সবুজ মন্ডল।
এদেরকে শেল্টার দিচ্ছেন নবগঠিত ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সদস্য রঞ্জিত মন্ডল,এনায়েতনগর ইউপির ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার মো.জাকির হোসেন। উক্ত দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদের কারনে ফারিয়া গার্মেন্টসসহ বিসিকের বিভিন্ন গার্মেন্টসে কর্মরত সাধারন ছেলে-মেয়েরা অনেকটাই আতংকের মাঝে থাকে। আর উক্ত অপরাধীদের ঠাই দিয়েছে ফারিয়া ফ্যাশনের পিছনের বাড়ির মালিক বকুল।
যার বাড়ির ৫তলার উপরে একটি টর্চালসেল খুলে বসেছে রানা ও সবুজ মন্ডল। বিভিন্ন গামেন্টস এ কর্মরত শ্রমিক নাইট ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার সময় কোন ছেলে-মেয়েকে একত্রিত ভাবে পেলেই তাদেরকে বিভিন্ন অযুহাতে নিয়ে যায় ওদের টর্চার সেলে। সেখানে আটক রেখে উক্ত ছেলে-মেয়ের পরিবারকে ফোন করে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। ওদের এরুপ কর্মের ফলে অনেক নারী ও পুরুষ শ্রমিক ইজ্জতের ভয়ে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে গ্রামের বাড়ি যেতে বাধ্য হয়েছে। যেমনটা ঘটেছে শ্লীলতাহানীর শিকার রুবিনার ভাই ( ছদ্মনাম) সেলিমের ক্ষেত্রেও।
২১ জানুয়ারীর সেই ঘটনার পর সেলিমও গ্রামের বাড়ি যেতে বাধ্য হয়েছে। এদিকে জাকির মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেতা রঞ্জিত মন্ডলের মদদে বেপরোয়া হয়ে উঠা রানা ওসবুজ ক্ষুদ্ধ পুরো বাড়ৈভোগসহ আশপাশ এলাকার বাসিন্দারা। তাদের কৃতকর্মের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। দুই নারীর অভিযোগের পরে এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে উক্ত দুই অপরাধী রানা ও সবুজ। পুলিশ ওদেরকে আটক বা গ্রেফতার না করায় অনেকটাই বুক ফুলিয়ে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে রানা ও সবুজ মন্ডল।
এ দিকে শ্লীলতাহানীর বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহাদাত হোসেন আসামীদ্বয়কে গ্রেফতারের পরিবর্তে অভিযোগকারীকে মিমাংশা করার কথা বলে আসেন তিনি। আসামীর পক্ষালম্বন করে পুলিশের কাজ করা নিয়ে উক্ত এলাকায় চলছে ব্যাপক গুঞ্জন। আর অভিযোগকারীকে আপোষ-মিমাংশা করার কথা বলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন,আমরা গরীব বলে কি বিচার পাবোনা। বিচার কি বড় লোকের জন্য ?
গত ২৮ জানুয়ারী মৃত মোঃ সেকান্দর এর কন্যা ও ফরহাদের স্ত্রী শাওন আক্তার উল্লেখ করেন মোঃ নবী হোসেনের পুত্র মোঃ রবিউল ইসলাম রানা,মন্টু মন্ডলের পুত্র সবুজ মন্ডল সহ অজ্ঞাত নামা ৮/১০ জন সন্ত্রাসী গত ২৬/১/২০২০ ইং তারিখ রাত সাড়ে ১০ টায় আমার প্রতিবেশী মোসাঃ রুনা আক্তারকে বিবাদীগন ভিন্ন কৌশল গ্রহন করে বকুল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে আটকাইয়া রেখে বিভিন্ন প্রকার অযোক্তিক দাবী ধাওয়া করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। বিষয়টি জেনে আমার স্বামী ফরহাদ হোসেন ও শ্বশুর রমিজউদ্দিন ঘটনাস্থলে গেলে উল্লেখিত সন্ত্রাসী ও বিবাদীগন আমার স্বামীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে নবগঠিত ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সদস্য রঞ্জিত মন্ডলের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ( ০১৭১৫১১৫৫@@) একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি। এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার আলহাজ মো.জাকারিয়া জাকির বলেন,আমি ৩দিন যাবত কক্সবাজার আছি। ঘটনাতো আগের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমি সেই দিন থেকেই কক্সবাজার আছি।