দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি বেশ আনন্দিত যে, আজকে একটা ক্যান্সার হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। তাও আবার নারায়ণগঞ্জ জেলা সদরে। আমরা গবেষণায় বেশি গুরুত্ব দেই। এজন্য চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি, যাতে সেখানে রিসার্চ হয়।
কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড ক্যান্সার রিসার্চ’ সেন্টার চালু হলে মানুষ আরও ভালো ভাবে ক্যান্সারের চিকিৎসা পাবে।
আমরা সব মানুষের সহজে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে চাই। এজন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও এ খাতে নজর দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবায় কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। এ পর্যন্ত তাদের সবগুলো উদ্যোগ সফল হয়েছে।
রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ‘কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড ক্যান্সার রিসার্চ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রক্ত দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, ভালো থাকার জন্য। স্বাধীনতা পাওয়ার পর মানুষ ভাগ্যহারা থাকবে, এটা হতে পারে না। এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা অনেক কিছুতেই পিছিয়ে পড়েছিলাম। “৭৫’র ট্র্যাজেডি-পরবর্তী ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু বানিয়ে ফেলেছিল। নিজেদের স্বার্থ ও কল্যাণ ছাড়া মানুষের জন্য কিছু করেনি। আমরা এসে মানুষের সেবার জন্য সবই করেছি। সব জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং বিভাগে বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। সময়োপযোগী আইন প্রণয়নে মনোনিবেশ করেছি৷হাসপাতালগুলো যাতে উন্নত মানের হয় সেটারও ব্যবস্থা করে দিয়েছি, ডাক্তার-নার্স নিয়োগ দিয়েছি।
চিকিৎসাক্ষেত্রে গবেষণা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে বলেন, আমাদের দেশে রিসার্চের সুযোগটা খুবই কম। বিশেষ করে মেডিকেল সায়েন্সের রিসার্চ খুব বেশি একটা হচ্ছে না, যেটা হওয়া একান্তভাবে প্রয়োজন। কারণ আসলে যাদের রিসার্চ করার কথা, সকলেই ডাক্তার হয়ে রোগী দেখতে এত ব্যস্ত, তারা বসে রিসার্চ করার সময় নেই।খুবই হাতে গোণা কয়জনকে আমি দেখি, তাদের পাবলিকেশন এবং রিসার্চ করতে।
টিকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা করোনা মোকাবিলায় টিকা নিয়ে এসেছি। প্রথম দিকে এটা নিয়ে নানা ভীতি ও গুজব ছড়ানো হয়েছিল। এই কুমুদিনী হাসপাতালের একজন নার্স সবার আগে টিকা নিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। তারপর এখন সবাই নিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, দেশে প্রতি বছর এক লাখ মানুষ কান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। নতুন করে আক্রান্ত হন আরও দেড় লাখ। ক্রমেই এ হার বাড়ছে।আর কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ৮০ বছর পুরাতন একটি ট্রাস্ট। এখানে অনেক বছর ধরে চলছে মানুষের সেবা কার্যক্রম।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক শ্রীমতী সাহা,ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা,নারায়ণগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, ৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, ৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমান,৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ড.সেলিনা হায়াৎ আইভি প্রমূখ।