দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ফতুল্লার ২০০৮ সালের আলোচিত ৪ খুন মামলার ২ আসামীর মৃত্যুদণ্ড ও ৯ আসামীর যাবজ্জীবন রায় প্রদান করেছে আদালত।
রবিবার(২৮ ফেব্রুয়ারি)দুপুরে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ ২য় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন ৭ জন আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটির কে এম ফজলুল রহমান বলেন,২০০৮ সালের বক্তাবলির আলোচিত বলগেটের চার শ্রমিক হত্যা মামলায় ১৮ জনের স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আসামী তাজুল ইসলাম ও মহি উদ্দিন মহি ফিটার। দোষী সাবস্থ হওয়ায় তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড প্রদান এবং৩৯৬ ও ৩৪ ধারা দোষী সাবস্থ হওয়ায় ৯ জন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো তাজুল ইসলাম ফিটার ও মহিউদ্দিন মহি ফিটার। যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামীরা হলো চাঁন মিয়া,দুলাল মিয়া, মজিবর, আব্দুল মান্নান, আরিফ, জলিল, সাইফুল ইসলাম, দুলাল, ইব্রাহিম ও মৃত শফিকুল ইসলাম।
রায় প্রদানের সময় তাজুল ইসলাম, মহিউদ্দিন মহি ফিটার ৩৪ ধারা দোষী সাবস্থ হওয়া মৃত্যুদণ্ড ও চাঁন মিয়া, দুলাল মিয়া, মজিবর, আব্দুল মান্নান, আরিফের উপস্থিততে আসামীরা ৩৯৬ ও ৩৪ ধারা দোষী সাবস্থ হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবংসকল আসামী ৪১২ ধারা দোষী সাবস্থ হওয়ায় ১০বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৫ মাসের জেল প্রদান করা হয়।
রায়ের বিষয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবী বলেন,আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট না।আমরা উচ্চ আদালতে আপেল করবো।এটা একটা সম্পূর্ণ সাজানো একটি মামলা।আমার প্রতিটি আসামী নিয়মিত হাজিরা দিয়ে জামিনে আছে।এই রায় আমরা মানি না।
উল্লেখ্য যে ২০০৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর শাহ পরান এর বলগেট সিলেট থেকে পাথর নিয়ে মুন্সিগঞ্জ আসে। মুন্সিগঞ্জ মাল খালাস করার পর বলগেট নষ্ট হয়ে। বলগেট এর ড্রাইভার নাসির তাজুল ফিটার ও মহি ফিটারকে জানালে তারা আসে এবং ঠিক করার কথা বলে বক্তাবলি চরে নিয়ে যায়।এসময় তাদের সাথে ড্রাইভার নাসির মিয়া,মঙ্গল,ফয়সাল ও হান্নান। তারপরের দিন চর থেকে বলগেট ও নদী থেকে নাসির ও মঙ্গলের হাত পা বাধা অবস্থায় গলা কাটা লাশ উদ্বার করে এবং বাকি দুইজনের লাশ পাওয়া যায়নি।
শাহ পরান বলগেটের মালিম এহসান মিয়া বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় ৩৯৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয় যার নাম্বার ৪৬(০৯)০৮। জলিল, দুলাল, ইব্রাহিম, দুলাল, শফিকুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে এবং তদন্ত শেষে ১২ জন আসামীর বিরুদ্ধে চাজশীর্ট দাখিল করা হয় ২৬/০৩/০৯। আদালতে ১৮ জনের স্বাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে ২জন আসামীর মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জন আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।