দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জে কাগজে কলমে জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটির সীমাবদ্ধতা থাকলেও সাংগঠনিক গতিশীলতার নেই কোন বালাই। কারন কাগজে কলমে ঘোষিত সেই কমিটির বয়স প্রায় দেড়যুগ আর যেটার দখলদারিত্ব এখনও করে বেড়াচ্ছেন আদুভাইয়েরা।
আর এই আদুভাইদের দখলদারিত্বের কারনে নতুন নেতৃত্ব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের রাজনৈতিক মেধা কাজে লাগাতে পারছেন না উদীয়মান তরুন রাজনীতিবিদরা। তবে সব কিছুর পরও নারায়ণগঞ্জ যুবলীগ আদুভাইদের দখল থেকে মুক্ত ও নতুন নেতৃত্ব বিকাশ হবে। সেই আশায় বুক বেধেছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
তাই সবার কাছে একটাই প্রশ্ন কারা হচ্ছেন জেলা ও মহানগর যুবলীগের কর্ণধার এই প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে বিদ্যমান।
এদিকে, প্রায় দেড়যুগের বেশী সময় পার হলেও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দরা কমিটির মুখ দেখেনি। এবার কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পর আশায় বুক বেধেছিলেন অনেকেই। তবে সম্মেলনের পর কেন্দ্রে নতুন নেতৃত্ব আসলেও স্থানীয় নেতৃত্ব পরিবর্তনে এখনও রয়েছে ধোয়াশা।
তবে সেটা পকেট কমিটি না হয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মীদের দ্বারা নির্বাচিত হলে বহু বছর অভিভাবকহীন যুবলীগ স্থানীয় ভাবে আরও গতিশীল হবে বলে অনেকেরই দাবি। কিন্তু তাদের সেই আশায় ছাই পরার সম্ভবনাও কম নয়। কারন নারায়ণগঞ্জে বেশ ঘটা করেই সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও সেটা শুধুই স্বপ্ন।
কারন নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ঘোষিত কমিটি গুলো বাস্তবে রুপ পেয়েছে পকেট কমিটি হিসেবে। যেখানে ছিলোনা কর্মী সম্মেলনের কোন বালাই।
তবে সেই কমিটি নিয়ে স্থানীয় মিডিয়াতে সমালোচনার কমতি নেই। ঘোষিত সেই কমিটি বিরুদ্ধে অনেক নেতাই প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিলেন বেশ জোড়ে সোড়ে। আর নেতাকর্মীদের সেই আন্দোলন পকেট কমিটির কাছে পরেছে মুখ থুবরে। তাই জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটি নিয়ে এর ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভবনা নাও থাকতে পারে।
এ বিষয় জেলা ও মহানগর যুবলীগের অনেক নেতা বলেন, আমরা চাই প্রকৃত পক্ষে যারা যোগ্য তাদের হাতেই যুবলীগের দায়িত্ব প্রদান করা হউক। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে আওয়ামী লীগ পরিবারের হতে হবে, কোন হাইব্রিড মার্কা বিএনপি ছাত্রদল বা যুবদলের কাউকে দিলে হবে না।
অবশ্যই সাংগঠনিক দক্ষতা থাকতে হবে, আর সেই সাথে সততার বিষয়টি মাথায় থাকতে হবে। কারন কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে শুদ্ধ অভিযানের নামে আমরা যে বাস্তব চিত্র লক্ষ্য করছি সেটা হলে চলবে না। যারা আয় করার জন্য অর্থের লোভে পরে অন্য দল থেকে এসে হাইব্রিড নেতা হলে চলবে না।
তারা আরও বলেন, যারা রাজপথে থেকে সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়ে এসেছে তাদের হাতেই যুবলীগের নেতৃত্ব দেয়া উচিত। কোন নামধারী অন্য দল থেকে আশা নব্য নেতাদের হাতে দিলে যুবলীগ তার কখনই পুরোন গতি ফিরে পাবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নারায়ণগঞ্জে জেলা ও মহানগর যুবলীগ সাংগঠনিক ভাবে অনেক বছর যাবৎ প্রাণ হীন হয়ে পড়েছে। শুধু নাম মাত্র দলীয় কর্মসূচি পালন করলেই হবে না সাংগঠনিক ভাবে সংগঠনকে গতিশীল ও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। সেই জন্য প্রয়োজন রাজপথে নেতৃত্ব দেয়া, সাংগঠনিক দক্ষতা সম্পুর্ন ব্যক্তিদের হাতে দায়িত্ব প্রদান করা। তাহলেই নারায়ণগঞ্জে যুবলীগ হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলে ধারনা করা যায়।