দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জে রেলওয়ে উচ্ছেদ অভিযান করছে দীর্ঘদিন ধরে। অনেক বছর অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন স্থান রেলওয়ে কিছুদিন পর পর এ অভিযান করে। তবে তাতেও ধমানো যায়নি অবৈধ দখলদারদের। তারা গড়ে তুলছে নতুন নতুন অবৈধ স্থাপনা।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয় ক্ষমতা দেখিয়ে কেউ সরকারের সম্পতি দখল করে রাখতে পারবে না। রেলওয়ে ডাবল লাইনের উন্নয়ণ প্রকল্পের জন্য সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের চারার গোপ এলাকায় রেলওয়ের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থাপনার অধিকাংশ বিভিন্ন ব্যক্তি ভাড়া দিয়ে অর্থ আদায় করে। রেলওয়ের কাছ থেকে লিজ না নিয়ে ও রাজস্ব না দিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে এই অবৈধ স্থাপনা গুলো। অভিযোগ রয়েছে রাজনীতির প্রভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির সহযোগিতায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা গুলো নির্মাণ করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি শহরের চারার গোপ এলাকায় রেলওয়ের জায়গা দখল করে রুচি বিরিয়ানি হাউস এন্ড রেস্টুরেন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে। এই স্থাপনার সাথে রয়েছে আরও অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা। কিছুদিন আগেও চারারগোপ এলাকার ভান্ডারী হোটেলসহ কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করে রেলওয়ে। তবে তাতেও বন্ধ হয়নি দখল দারদের দৌরাত্ব্য। তারা নানা ভাবে স্থানীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গড়ছেন নতুন নুতন অবৈধ স্থাপনা।
স্থানীয়রা জানান, রেলওয়ে স্টেশনের সামনেই এই সব অবৈধ স্থাপনাগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাশালীদের নাম ব্যবহার করে কিছু অসাধুলোক এই সরকারী জায়গা দখল করে রাখছে। জনগনের চলাচলের সুবিধার্থে এই অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের দাবি জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার কামরুল ইসলাম জানান, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ডাবল লাইনের উন্নয়ণ প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছে রেলওয়ে। সেখানে নতুন করে স্থাপনা গড়ে উঠবে সেখানেও উচ্ছেদ অভিযান করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় কানুনগো মো. ইকবাল জানান, স্থানীয় ক্ষমতা দেখিয়ে কেউ রেলওয়ের জমি দখল করে রাখতে পারবে না। রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। নতুন করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আনা হবে।
নাগরিক নেতাদের দাবি, একদিকে ভাঙছে অন্যদিকে গড়ছে। রাষ্ট্রের কাজে ব্যবহৃত রেলওয়ের জমিতে যারা অবৈধ ভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে তাদের স্থাপনা উচ্ছেদসহ তাদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।