দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: সারা দেশে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে নাশকতার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জে র্যাব ও পুলিশের দায়ের করা ছয় মামলায় বিএনপি-জামায়ত ইসলামের ১৩৬ জনের নাম এজাহারভুক্ত করে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে ৩৭০০ জনকে।
পৃথক পৃথক এই মামলা গুলোতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন এলাকার অধিকাংশ নেতাদের আসামীর তালিকায় রাখা হয়েছে।
এই সকল মামলায় এজাহারভুক্ত করা হয়েছে সাবেক সাংসদ গিয়াসউদ্দিন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুগ্ম-আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, আবদুল হাই রাজু,
মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, নাসিক কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল, মহানগর ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, সহ-সভাপতি জুয়েল রানা, ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম সাগর সহ তালিকায় রয়েছেন আরও ১২৬ জন নেতাদের নাম।
এদিকে, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ এনে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
বুধবার (৩১ মার্চ) এক বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থেকেও জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা বিএনপির উপর তারা সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করেও নেতাকর্মীদের রাজপথ থেকে পিছু হটাতে পারেনি। দিন যতই যাচ্ছে এদেশের জনগণের আস্থা ততই বিএনপির উপর দৃঢ় হচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাই সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে।
তাই ক্ষমতাশীনদের অংশ হেফাজতকে ব্যবহার করে হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সেই দোষ বিএনপির উপর চাপিয়ে দিচ্ছে।
তারা আরও বলেন, আমরা হেফাজতের হরতালকে সমর্থন করি নাই। তবুও সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাদের হয়রানী করছে। আমরা এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে অনতি বিলম্বে বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, রোববার হেফাজতের সকাল-সন্ধ্যা হরতালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নাশকতার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সোমবার (২৯ মার্চ) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচটি এবং র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। প্রত্যেক মামলায় ২৫-৩০ জন এজাহারনামীয় আসামি এবং অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।