দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতা নিবন্ধন করতে এসে ভোগান্তির শিকার এনায়েতনগর ৮নং ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীরা।
শনিবার (৬ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ৬নং পশ্চিম মাসদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায় এ চিত্র।
ইতিপূর্বে করোনাকালীন সময় প্রধানমন্ত্রীর উপহার নগদের মাধ্যমে অনেকে নিবন্ধন করে পেলেও বর্তমান এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতার সুবিধাভোগকারীদের জাতীয় পরিচয় পত্র,ছবি ও মোবাইল সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে বলা হয় সুবিধাভোগকারীদের।
ঘটনাস্থলে এসে সুবিধাভোগীরা জানতে পারে পুনরায় জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে ১০০টাকার সিম কার্ড কিনে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতার নিবন্ধন করতে হবে। অন্যদিকে বিকেল ৪টার মধ্যে নিবন্ধন না করলে ভাতা থেকে বঞ্চিত হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। এর ফলে সুবিধাভোগী বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পড়ে।
এক্ষেত্রে অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন,এর আগে সরকার আমাদের ভাতার টাকা দিছে তখন এতো কিছু করতে হয়নি। আজকে এখানে আসার পর মেম্বার ও তার লোকেরা বলতাছে যারা সিম কার্ড না কিনবে তাদের বয়স্ক ভাতার টাকা ও বই দিবে না বলেছে। এখানে আমরা টাকা নিয়ে আইছি নাকি।
আর আমরা গরীব মানুষ টাকা পামু কই। যুদি টাকা জোগাড় করতে না পারি আর সিমকার্ড কিনতে না পারি তাইলে কি আমরা বয়স্কভাতার কার্ড বা টাকা পামুনা।
ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে পূর্বের সিম কার্ড নিবন্ধন থাকার পরও কেনো ভাতা গ্রহনকারীদের নতুন করে ১০০টাকা দিয়ে সিম কার্ড কিনতে হচ্ছে এ বিষয়ে এনায়েতনগর ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আতাউর রহমান প্রধান(আতা) জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,আমাদের এখানে এমন কোন কিছুই হয়নি। অনেকেই বুঝতে পারছে না বিষয়টি তাই তারা এই রকম কথা বলছে।
যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে সিম কার্ড নিবন্ধন করা নেই তাদেরকেই নতুন করে সিম কার্ড কিনতে বলা হচ্ছে। কারন সরকার থেকে আমাদের এটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।