দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মানে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ৮লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সংযোগ সড়ক তথা কলাগাছিয়া-ফরাজিকান্দা সড়ক। সংকটে পড়তে পারে ঐ এলাকার স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, বাজার ও শহরগামী মানুষের জীবনযাত্রা।
এ শঙ্কায় ২শত বৎসরের পুরোনো এই জনপথ রক্ষার্থে ও সেতুস্থলে টানেল নির্মানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ফরাজিকান্দা ও কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৪০টি গ্রামের বাসিন্দারা।
সোমবার ১০টা থেকে বন্দর উপজেলাধীন মদনগঞ্জ-মদনপুর মহাসড়কের ফরাজিকান্দা বাজার এলাকায় তারা এ মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন প্রধাণ।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, এই এলাকায় ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ হওয়ায় আমরা অতন্ত্য আনন্দিত এবং প্রধাণমন্ত্রী’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। এ সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় এই এলাকার হাজার হাজার মানুষ তাদের বসতবাড়ি হাসিমুখে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু আমরা বিশ্বস্তসুত্রে জানতে পারলাম এই সেতু নির্মাণের মুল ছকে ফরাজিকান্দার এই ২শত বৎসরের পুরানো সড়কটির বহাল রাখার কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
প্রায় ৪০টি গ্রামের সকল শ্রেণী পেশার ৮ লক্ষ মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল এই সড়কটি।যদি এই সড়কটি বহাল না রাখা হয় তাহলে ৮লক্ষ মানুষই অবরুদ্ধ হয়ে যাবে। বন্ধ হয়ে যাবে এলাকার শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাওয়া আসা। মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের উভয় পাশেই স্কুল,কলেজ,মসজিদ ও মাদ্রাসা,বাজার ইত্যাদি । ফলে সড়কটি বন্ধ হলে বিচ্ছিন্ন এলাকায় পরিনিত হবে ঐতিহ্যবাহী ফরাজিকান্দা।এবং তাদের চলাচল ঘুরাপথে ব্যয় বাড়বে দ্বিগুন। বাড়বে জ্যাম-জট।
এছাড়াও সেতুটির সাথে চারলেনের রাস্তা হলে কোমলমতি শিশুদের স্কুলে যেতে রাস্তাপাড়াপাড় হবে সবচেয়ে ঝুঁকির বিষয়। কিন্তু আমরা কখনোই এতোগুলো সমস্যাকে মেনে নিতে পারি না। আমরা মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম সেলিম ওসমানের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আপনারা চাইলে আমাদের এ বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেন।
আমরা এই সেতুকে আশির্বাদ হিসেবে পেতে চাই। যদি এই সড়ক বরাবর একটি টানেল নির্মান করে দেন তাহলে এই ৮লক্ষ মানুষ আপনাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।
মানববন্ধন শেষে তারা বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি পেশ করে।