দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে মসজিদের উন্নয়ন ও কবরস্থানের গাছ বিক্রিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা মজিবর কর্তৃক জাতীয় পার্টির একনিষ্ট কর্মী হাজী সাখাওয়াতকে বিএনপি ও জামাত বানানোর অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, মুছাপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুর মিয়া প্রকৃত ঘটনাটি আড়াল করার জন্য জাপা নেতা হাজী সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে মিথ্যাচার করে প্রকৃত ঘটনাটি আড়াল করার জন্য শাক দিয়ে মাছ ঢাকার ব্যার্থ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
এ ব্যাপারে মুছাপুর ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সাধারন সম্পাদক ওয়াসিম গনমাধ্যমকে জানান, হাজী সাখাওয়াত হোসেন সাবেক এমপি নাসিম ভাইয়ের আদর্শ সৈনিক। হাজী সাখাওয়াত হোসেন জাতীয়পার্টির রাজনিতীতে সক্রিয়। স্থানীয় মসজিদ ও কবরস্থানে গাছ বিক্রিকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ নেতা মজিবরের সাথে সাখাওয়াত হোসেনর কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
উল্লেখিত সংঘর্ষের ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য আওয়ামীলীগ নেতা মজিবর মিয়া প্রতিপক্ষ জাতয়ি পার্টির নেতা সাখাওয়াতকে বিএনপি ও জামাতা বানানোর অপচেষ্ঠা চালিয়ে আসছে। আমি মুছাপুর ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক হিসেবে আওয়ামলিীগ নেতা মজিবর অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতি র্তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ ছাড়াও বন্দর উপজেলা জাতীয় শ্রমিকপার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন গনমাধ্যমে আরো জানান, আমি সাখাওয়াত ভাইয়ের অনুপ্রেরনায় জাতীয় পার্টিতে যোগদান করি। সে শুধু আমার নেতা নয় সে মুছাপুর ইউনিয়নের সকলের নেতা।
উল্লেখ্য, বন্দর উপজেলার দক্ষিন মুছাপুর এলাকার মৃত আব্দুস সোবাহান মিয়ার ছেলে রিয়াজুল মিয়া নয়াগাও বাইতুল ইজ্জত জামে মসজিদ কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে। রিয়াজুল মিয়া ও তার অনুসারীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে না জানিয়ে কবরস্থানে গাছ বিক্রি করে দেয়।
এ নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি রিয়াজুল ও তার পরিবারের সাথে জাপা নেতা সাখাওয়াতের মত বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে গত ২৩ এপ্রিল আছর একই এলাকার মৃত আব্দুস সোবাহান মিয়ার ৩ ছেলে মজিবর, সিরাজুল, মোখলেছ ভাতিজা রাশেদ, আরিফ খোরশেদ মেহেদী, আকিব, একই এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে মহাসীন ও বাবুল এবং আরিফ মিয়ার ছেলে নাঈমসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১৫ জন জাপা নেতা শাখাওয়াত হোসেনকে দেখে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে।
এ ঘটনায় সাখাওয়াত প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে সাখাওয়াতকে বেদম ভাবে পিটিয়ে আহত করে। ওই সময় জাপা নেতা চিৎকারের শব্দ পেয়ে আহতের দুই ভাই দেলোয়ার ও আনোয়ার এবং তার আব্দুর রহিম, ছকির, শান্ত এগিয়ে াাসলে হামলাকারিরা তাদেরকেও বেদম ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার বন্দর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হলেও এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার করার সংবআদ জানাতে পারেনি।