দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: করোনাভাইরাস সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর’ লকডাউনের মধ্যেই বিপণি বিতানগুলোর খোলার কিছু শর্ত মোতাবেক অনুমিত দিলেও,দ্বিতীয় দিনে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিপণি গুলোর চিত্র একেবারে ভিন্ন।মার্কেট গুলোতে উপচে পড়া ভীড় অথচ নেই কোন স্বাস্থ্য সচেতনতা,বিক্রেতারা করছে ব্যবহার মাস্ক।
সোমবার(২৬এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শপিং মল খোলার পাশাপাশি ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ পোশাকের দোকানও চালু হয়ে গেছে। তবে কিছু মার্কেট গুলোতে মানা হচ্ছে সরকারি নির্দেশনা।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউনের বিধি নিষেধ রবিবার(২৫ এপ্রিল)একাদশ দিনে এসে শিথিল করা হয়েছে মানুষের ‘জীবন-জীবিকার’ বিবেচনায়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার।কিন্তু নারায়ণগঞ্জ শহরে অধিকাংশ শপিংমল ও মার্কেট গুলো স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই খুলেছে দোকান।
সকালে আল জয়নাল ট্রেড্রাস,শান্তনা মার্কেট,বেলী টাওয়ার,হক প্লাজা,মার্ক টাওয়ার,সমবায় মার্কেট,জামান টাওয়ার,পানোরামা প্লাজা,লুৎফা টাওয়ার,সায়াম প্লাজা,জ্যোৎস্না ট্রেডার্স মার্কেট,ওয়াহিদ প্লাজা,নারায়ণগঞ্জ প্লাজা,ফেন্ডস মার্কেট,নুরুল ইসলাম রেলওয়ের মার্কেট, রিভারবিউ,ওয়ালী সুপার মার্কেট,সোনার বাংলা মার্কেট,টোকিও প্লাজা,আজহার সুপার মার্কেট,দেলোয়ার মার্কেট,করিম সুপার, আজাদ সুপার মার্কেট এলাকার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে,এর মধ্যে শুধু মাত্র লুৎফা টাওয়ার,সায়াম প্লাজা,জ্যোৎস্না ট্রেডার্স মার্কেটগুলোতে মানা হচ্ছে সরকারি নির্দেশনা।
ফেন্ডস মার্কেট ঘুরে দেখা যায় লকডাউনের মধ্যে মার্কেট খোলার দ্বিতীয় দিনেই মানুষের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়।কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই খোলা হয়েছে মার্কেট।ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়কে মাস্কবিহীন দেখা যায়।
এর মধ্যেও ফেন্ডস মার্কেটে পরিবারসহ কেনাকাটা করতে এসেছিলেন শাহাবুদ্দিন নামের একজন। তিনি জানালেন, সরকার লকডাউন তুলে দিলেই সপরিবারে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। সে কারণে ভিড় বাড়ার আগেই কিছু কেনাকাটা সেরে নিতে এসেছেন।
অন্যদিকে লুৎফা টাওয়ার,সায়াম প্লাজা,জ্যোৎস্না ট্রেডার্স মার্কেটে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের লক্ষ্যে জীবাণুনাশক ট্যানেল বুথ,জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হচ্ছে।