দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন ডিক্রীরচর নিবাসী আব্দুল জব্বারের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জীবন ও জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ দিন যাবত বিদেশ প্রবাসী হয়ে ছিলেন। উক্ত ব্যক্তি বিদেশে থাকা অবস্থায় পারিবারিক পছন্দের সুবাদে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিগত ১৩/১২/২০১৯ইং তারিখে, জেলার বন্দর থানাধীন ৭৪ রূপনগর নিবাসী মোঃ রফিক মিয়ার মেয়ে মুন্নী আক্তারের সহিত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিবাহের পরবর্তী সময়ে প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী মুন্নী আক্তারকে প্রতি মাসে খোর-পোষ দিয়ে গেছেন এবং তার স্ত্রীর অতিরিক্ত চাহিদা অনুসারে তাকে প্রতি মাসে অতিরিক্ত টাকা পয়সা দিয়ে গেছেন। বিগত দের বছরে তার পাঠানো সকল টাকার পরিমান তার এই মূহুর্তে সব গুলো মনে নেই, যেগুলো তার মনে আছে সেগুলো হলো, সারে তিন লক্ষ ও দুই লক্ষ মোট সারে পাঁচ লক্ষ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণ অলংকার। তার পরবর্তীতে মুন্নী আক্তার তার বাবার ব্যবসার কথা বলে জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে আরো এক লক্ষ টাকা আদায় করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন- আমি তাকে বিশ্বাস করে আমার বিদেশে অর্জিত সকল টাকা-পয়সা স্বর্ণ-অলংকার তার নিকট পাঠিয়েছি। তার সকল চাহিদা পূরন করার চেষ্টা করেছি কিন্তু তার চাহিদা দিন দিন ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে।
যার কারনে একটা সময় আমার সন্দেহ হয় এবং আমি দেশে চলে আসি। আসার পর জানতে পারি আমার প্রাক্তন স্ত্রী মুন্নীর আমি ব্যতীত আরো দুটি বিয়ে হয়েছিলো। সে তাদের টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে নিঃস্ব করে পথে বসিয়ে ছেরে দিয়েছে, সে আমাকেও তাই করতে চেয়েছিলো।
আমি তার গোপন নষ্ট রূপের নষ্টামী বুঝতে পেরে, আমার পরিবারের লোক জনের সাথে আলাপ করে, তাকে আমি চলতি বছরের ১ লা ফেব্রুয়ারী নিকাহ রেজিস্ট্রারের নিয়ম অনুযায়ী তালাক প্রদান করি। আমার এই সিদ্ধান্তে সে ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি বছরের ৭ ই মার্চ সে আমার নামে যৌতুক মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আমি এখন জামিনে রয়েছি।
আমাকে ভিন্ন পন্থায় হেনস্থা করার জন্য সে জাতীয় মহিলা সংস্থায় আমার নামে নালিস উপস্থাপন করেন, সেখানে তারা সমস্ত ঘটনা আলোচনা-পর্যালোচনা করার পর। তারা মুন্নী আক্তারকেই অপরাধী হিসেবে শনাক্ত করেন, যার পরবর্তী সময়ে সে জাতীয় মহিলা সংস্থাকেও বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চলে আসেন। তাদের সাথেও এখন আর সে কোনো যোগাযোগ করতেছেন না।
ভুক্তভুগি জাহাঙ্গীর আরো বলেন, আমি আমার দেশের প্রচলিত আইন’কে যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করি। আমি যেহেতু মুন্নী আক্তারের গোপন কৃতকর্ম সম্পর্কে জানতে পেরেছি। সেই সুবাদে আমি তাকে সুস্থ মস্তিস্কে স্বজ্ঞানে ইসলামীক শরীয়ত নিয়ম অনুযায়ী তালাক প্রদান করেছি। তাই সে এখন আর আমার স্ত্রী নয়।
তাই প্রচলিত আইনের মাধ্যমে আমি আমার পাঠানো সারে পাঁচ লক্ষ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণ-অলংকার ফেরৎ চাই। যা কিনা আমার কষ্টের উপার্যনে আয়কৃত।
মুন্নী আক্তার তার মুঠো ফোনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, জাহাঙ্গীর আমাকে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য প্রতি নিয়ত শারীরীক ভাবে নির্যাতন করতো। সে আমার সাথে সর্বদা দূর্ব্যবহার করতো, আমাকে বকা ঝকা করতো এবং আমাকে সে যথেষ্ট সন্দেহ করতো।
সে আমার কাছে যে সারে পাঁচ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণ-অলংকার দাবি করিতেছে, তা মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।
অপরদিকে জাহাঙ্গীরের দাবি, এই মুন্নী আক্তার আমার মতো আর কোনো জাহাঙ্গীরের জীবন নিয়ে যেনো নষ্ট চিন্তাচেতনায় নোংরা খেলা খেলতে না পারে। আর আমি আমার পাঠানো কষ্টে উপার্জিত সারে পাঁচ লক্ষ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণ-অলংকার সকলের উপস্থিতিতে ফেরৎ চাই।