দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ফতুল্লায় গ্যাসের চুলার পাইপ লাইনের বিস্ফোরণে দুটি পরিবারের নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভবনটি সিলগালা করেছে জেলা প্রশাসন। সেই সাথে বিস্ফোরণের কারণ উদঘাটনে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৬টায় ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা জামাই বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন, হাবিবুর রহমান (৫৬), তার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৪২), ছেলে লিমন (২০), মেয়ে সাথী (২৫), মিম আক্তার (২২), তার তিন মাসের শিশু ফাহাদ, নিরাহার (৫৫), তার স্ত্রী শান্তা বেগম (৪০), ছেলে সামিউল (২৬), তার স্ত্রী মনোয়ারা আক্তার (১৬)।
এদের মধ্যে লিমন, সাথী, মীম, মাহিরা ও আলেয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয় জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, প্রাথমিক ধারনায় মনে হয়েছে গ্যাসের চুলা চালু ছিল। সেখান থেকে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হতে পারে। বড় ধরনের কম্পনের ফলে দেয়াল ভেঙে গেছে। এই দুর্ঘটনায় ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তারকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসও তদন্ত করছে৷ তদন্তে ঘটনার মূল কারণ জানা যাবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয় নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, তল্লা এলাকায় মফিজুলের বাড়ির তৃতীয় তলায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের দু’টি পরিবার বসবাস করেন। রাতে একটি পরিবারের লোকজন চুলার বার্নার বন্ধ না করেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতে চুলা থেকে গ্যাস বের হয়ে রান্নাঘরসহ অন্যান্য ঘরে জমাট বেধে থাকে।
তিনি আরো বলেন, এরপর সকালে রান্নার জন্য চুলায় আগুন জ্বালাতেই গ্যাসের বিস্ফোরণ ঘটে। তখন তিন মাস বয়সের একটি শিশুসহ ১১ জন আগুনে দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে শিশুসহ পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং ছয়জনকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিস্ফোরণে উড়ে গেছে ভবনের দেয়ালসহ আসবাবপত্র।