দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী কর্তৃক তালাক প্রদানের ঘটনায় অপহরনকারি শামীমসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীকে আবারও অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সময় অপহরণকারিদের বাধা দিতে গিয়ে আশ্রয়দাতা দম্পত্তীসহ ৩ জন গুরুত্বর জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতরা হলো মোস্তফা মিয়া (৫০) ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগম (৩৭) ও শাহিদা বেগম (৪০)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মদনপুর আল বারাকা হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
রোববার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের সেনের বাড়ী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ভ’ক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে অপহরনকারি শামীমসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ পেয়ে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল আলম দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ব্যাপারে অভিযোগের বাদিনী সেলিনা বেগম বন্দর প্রেসক্লাবের গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমার মেয়ে খাদিজা আক্তার ধামগড় ইস্পাহানীস্থ জামিয়া আরাবিয়া মহিলা মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে আসছে। আমিসহ আমার পরিবার বর্তমানে ধামগড় ইউনিয়নের সেনেরবাড়ীস্থ গাফ্ফার মিয়ার বাড়ীতে দীর্ঘ দিন দরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছি।
এর ধারাবাহিকতায় গত ৪ এপ্রিল বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের সেনেরবাড়ী এলাকার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে অপহরণকারি শামীম একই এলাকার একিন আলী মিয়ার ছেলে আজিজুল হক, একই এলাকার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে উজ্জল, জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী মরিয়মও মৃত তাজুল ইসলামের স্ত্রী সামছুন নাহারের সহযোগিতায় আমার মেয়ে খাদিজাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর র্পূবক ভাবে অপহরণ করে র্কোট ম্যারেজ করে।
পরে আমার মেয়ে খাদিজা আক্তার র্কোট ম্যারেজের বিষয়টি আমাকে ও আমার পরিবারকে জানায়। এ ঘটনায় আমার মেয়ে গত ৬ এপ্রিল শামীমকে তালাক প্রদান করে। তালাক প্রদানের পর থেকে অপহরণকারি শামীমসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে আমার মেয়েকে এমনকি আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দামকি অব্যহত রাখে। তাদের অব্যহত হুমকি দামকির কারনে আমিসহ আমার পরিবার একই এলাকার মোস্তফা মিয়ার বাড়ীতে আশ্রয় নেই।
মোস্তফা মিয়ার বাড়ীতে আশ্রয় নেওয়ার খবর পেয়ে গত ১৮ এপ্রিল রোববার রাত সাড়ে সন্ত্রাসী শামীমের নেতৃত্বে উল্লেখিতরা আশ্রয়দাতা মোস্তফা মিয়ার বাড়ীতে হামলা চালায়। ওই সময় উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা আমার মেয়েকে জোর পূর্বক ভাবে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই সময় অপহরকারিদের বাধা দিতে গিয়ে আশ্রয়দাতা দম্পত্তীসহ ৩ জন গুরুত্বর আহত হয়।
এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই শহিদুল আলম গনমাধ্যমকে জানান, অভিযোগে পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যহত রেখেছি। আশাকরি অচিরেই ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারিকে আটক করতে সক্ষম হব।