দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, মামুনুল হক ধর্ম প্রচারক হিসেবে দাবীদার, অথচ অন্য নারী নিয়ে তিনি আরাম আয়েশ করার জন্য রয়েল রির্সোটে গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে যে নারী (জান্নাত আরা ঝর্না) ছিলেন রেজিস্টারে তার নাম না লিখে প্রথম স্ত্রীর নাম (আমিনা তৈয়েবা) লিখেছেন।
যদি ওই নারী তার বৈধ স্ত্রী হতো তাহলে তার নামই লিখতো। যেহেতু ওই নারীর নাম রেজিস্টারে লিখেনি তিনি তার বৈধ স্ত্রী নন। তিনি নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। তিনি অনৈতিক কাজে জড়িত ছিল।
হেফাজতে ইসলামের হামলা ও ভাংচূরের ঘটনায় সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগ কার্যালয়, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ী-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে আসেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
পরে তিনি স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মাহবুবুল আলম হানিফ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। হেফাজত নেতা মামুনুল রয়েল রির্সোটে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে জনতার হাতে অবরুদ্ধ হয়। স্থানীয় নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ করায় হেফাজত নেতারা তাদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায়।
তিনি আরও বলেন, মামুনুলকে রক্ষার জন্য হেফাজতের নেতাকর্মীরা সাফাই গাইছেন। এতে বুঝা যায় তারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করছেন। তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামীলীগের কার্যালয় ভাঙ্গা মানে, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর ভাঙ্গা। সকল নেতাকর্মী সরকারের পাশে থেকে সরকারকে সহায়তা করার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, একটি চক্র এদেশের উন্নয়ন চায়না। তারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য পায়তারা করছে। আগামীতে সকল অপশক্তির দাত ভাঙ্গা জবাব দিয়ে আওয়ামীলীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে। আপনার সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। প্রতিটি নেতা-কর্র্মী আওয়ামীলীগের পাশে থেকে হেফাজতকে দমন করতে হবে।
তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। শক্ত হাতে দমন করা হবে। উল্লেখ্য গত ৩মার্চ শনিবার উপজেলার সোনারগাঁ রয়েল রির্সোটে হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে হেফাজতের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা ওই রির্সোটে হামলা ভাংচুর চালিয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেয়।
পরে ওই দিন রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শ্বশুর বাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনির বাড়ি-ঘরে হেফাজত কর্মীরা ব্যাপক ভাংচুর চালায়। ঘটনার দুই দিন পর হেফাজত কর্মীরা স্থানীয় এক সংবাদ কর্মীর বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করাসহ ও সাংবাদিককে মারধর করে। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম,
দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মিনাল কান্তি দাস এমপি, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির আহবায়ক এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভুইয়া,
যুগ্ম আহবায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার,জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুম, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি প্রমূূখ।
এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।