দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: পিতা ছিলেন পাকিস্তানের দালাল চিহ্নিত রাজাকার রফিক চেয়ারম্যান। রাজাকার রফিক চেয়ারম্যানের জীবদ্দশায় কোন দিন স্বাধীন বাংলাদেশকে মেনে নেয়নি। তার সন্তান মাকসুদ হোসেন চেয়ারম্যান ও আজও পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে মনে প্রাণে মেনে নিতে পারেননি।
আর এরই কারণে দেশের স্বার্থে সরকারী বিভিন্ন নির্দেশনাকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে এই মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে লকডাউন থাকার পরও আজ সকালে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের হাজার হাজার গ্রামবাসী নিয়ে মুছাপুর আ’লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমানকে বিতর্কিত করতে বিএনপি নেতা শাখাওয়াতসহ নিজের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজাকার পুত্র মাকসুদ চেয়ারম্যান।
উল্লেখ্য,গত শুক্রবার মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান ও তার ভাইয়ের বাড়িতে মাকসুদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শাখাওয়াত হোসেন শাখা’র নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরবর্তিতে ভুক্তভোগী পরিবার কোন পুলিশের সহযোগীতা না পাওয়ায় এবং ন্যায় বিচার না পাওয়ায় এ ঘটনায় স্থানীয় পত্রিকাসহ জাতীয় সংবাদ পত্রে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য আজ সকালে লকডাউন ভঙ্গ করে বিক্ষোভ মিছিল করে মাকসুদ চেয়ারম্যান।
এলাকাবাসী আরও জানান,কিছুদিন আগেও লকডাউন থাকা অবস্থায় মাকসুদ চেয়ারম্যান স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমানকে দিয়ে নিজেকে আবারও চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষনা দেয়ার জন্য হাজার হাজার গ্রামবাসীকে নিয়ে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেন। রহস্যজনক কারণে তখনো নিরব ভূমিকায় ছিলো বন্দর উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দিপক চন্দ্র সাহা বলেন,লকডাউন চলা অবস্থায় গ্রামবাসী নিয়ে এভাবে বিক্ষোভ মিছিল করা সম্পর্কে আমাকে কেউ জানায়নি বা পূর্বানুমতিও নেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে মাকসুদ চেয়ারম্যানকে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে(০১৮১২-০৮১৯০৫) দূপুরে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকার বলেন,লকডাউন থাকা অবস্থায় এমন জনসমাগম করে বিক্ষোভ মিছিল সম্পর্কে কেউ আমাকে কিছু জানায়নি। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমি অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।