বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: মতলবে ৬ মাস চাকরিতে অনুপস্থিত অফিস না করে ও বেতনের টাকা তুলে নিয়েছে এ স্বাস্থ্য সহকারি শাহজালাল । ঠিকাদারি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ছয় মাসে একদিন অফিসে যাননি। চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
সরোজমিনে স্বাস্থ্য সহকারী শাহজালালের অফিসে গিয়ে দেখা যায় দৈনিক হাজিরা খাতায় গত৬ মাসে (নভেম্বর থেকে অদ্যাবধি) তার কোনো সাক্ষরত নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সরকারি চাকরি করে ও তিনি উপজেলায় প্রভাবশালী একজন ঠিকাদার। গত ১২ বছরে তিনি অন্তত ৩০ কোটি টাকার কাজ করেছেন। তার স্ত্রীর রিজভী আপ নামের লাইসেন্স আছে। কিন্তু এই লাইসেন্সে নয়, তিনি সরকারি দলের প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদারের সঙ্গে কাজ করেন পার্টনারশিপে।
জানা গেছে, বিগত২০১২ সালে তৎকালীন সংসদ এয়ার ভাইস মার্শাল অবসরপ্রাপ্ত এম রফিকুল ইসলামের অলিখিত এপিএস পরিচয় এই স্বাস্থ্য সহকারি শাহজালাল নিজের কমিউনিটি ক্লিনিকে অফিস কামাই করতে শুরু করেন। তিনি তখন এলজিইডি পি আই ও সেকশনের কাজ ভাগবাটোয়ারা করার নামে নিয়মিত উপজেলাতে থাকতেন। লাগাতে খঞ্জনার মতো যখন ক্ষমতায় আসে সে ওই ক্ষমতাসীনদের কাছাকাছি থাকেন।
জানা গেছে যে স্বাস্থ্য সহকারী শাহজালালের অফিস করতে হয় না। অভাব খাটিয়ে ৪০ অফিসের সহকর্মীদের সাথে বেপরোয়া আচরণ করেন এমনকি তার ভাগ্যের চাকা এতই করছে যে গত কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে।
সরকারি চাকরি করো ঠিক দারি বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডাক্তার নুসরাত জাহান মিথেন জানান– শাহজালাল অফিসে আসে না এবং ঠিকাদারি করে দুটি আমি জানি, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব, তারপর সে তার অনিয়মের কথা সিভিল সার্জন স্যার জানেন স্বাস্থ্য সহকারী শাহজালালের ঠিকাদারি করার বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সাইফুল ইসলাম বলেন,৫ নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের লাভার কান্দি গ্রামের শাহজালালের এই মুহূর্তে দুটি কাজ চলমান একটি কালিপুর বাজার মার্কেট অপরটি দুর্গাপুর ইউনিয়নের দাসের বাজার মার্কেট দুটি কাজের অর্থমূল্য তিন কোটি টাকা তবে ঠিকাদার শাহজালা যে স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি করেন তা তিনি জানেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহজালালকে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি তার কর্মস্থল সম্পর্কে এলোমেলো উত্তর দেন তবে তিনি যে মুহূর্তে তিন কোটি টাকার ঠিকাদারি করছেন তা অকপটে স্বীকার করেন।।