দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দিন দুপুরে ১৮ বছরের এক যুবতী মেয়েকে জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে লম্পট নয়ন শীলের বিরুদ্ধে। গত বুধবার দুপুরে বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের সোনাকান্দা এনায়েতনগরস্থ আক্তারুজ্জামান মিয়ার ভাড়াটিয়া ঘরে এ ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী যুবতী মা বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মদন আইনে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ৮(৫)২১। পুলিশ মামলা দায়েরের ওই দিন দুপুরে বন্দর বাবুপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে লম্পট ধর্ষক নয়ন শীলকে আটক করেছে। আটককৃক লম্পট নয়ন শীল কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দী থানার চিরার চর খালিশা এলাকার রাজ কুমার শীলের ছেলে।
বর্তমানে লম্পট নয়ন শীল ও তার পরিবার বন্দর থানার সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকার আক্তারুজ্জামান মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়ীতে বসবাস করে আসছে। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদিনী গনমাধ্যমকে জানা জানান, আমার স্বামী একজন দিনমজুর। জীবিকার তাগিদে আমার স্বামী ঢাকা সদর ঘাটে মুচি কাজ করে আমাদের সংসার চালায়। সে সাথে আমিও বাসা বাড়ীতে কাজ করি। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে আমিসহ আমার পরিবার সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকার আক্তারুজ্জামানের বাড়েিত বসবাস করে আসছি। লম্পট নয়ণ শীল একই বাড়ী ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করার সুবাদে আমার মেয়ের সাথে তার পরিচয় হয়।
পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে ৪ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৫ মে বুধবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় আমি ও আমার স্বামী জীবিকার তাগিদে আমরা কর্মস্থলে যাই। ওই সুযোগে লম্পট নয়ণ শীল আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের ঘরে আসে। পরে সে আমার মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষন করে। ওই সময় আমার বড় বোন রিনা দাসসহ স্থানীয় এলাকাবাসী লম্পট নয়নকে হাতেনাতে আটক করে।
এ ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতদন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ মামলা দায়েরের ওই দিন দুপুরে বাবুপাড়া এলাকা থেকে নয়ন শীলকে আটক করে। পরে পুলিশ আটককৃত নয়ন শীলকে ওই মামলায় শুক্রবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে।