দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর সর্বপ্রধান অস্ত্র হিসেবে মাস্কের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেটা যে কোনো ব্যক্তির নিজেরই কেবল নয়, তার পরিবারের সুরক্ষার জন্যও। সেজন্য দেশে করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুতেই গত বছর ঘরের বাইরে মাস্ক বাধ্যতমূলক করে সরকার।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় গত এপ্রিলে ফের লকডাউন দিয়েছিল সরকার। এর মধ্যেই জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চালুর যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে শর্ত দেওয়া ছিল স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।কিন্তু গণপরিবহন চালুর পরদিন শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহরে বিভিন্ন স্থান ঘুরে স্বাস্থ্যবিধি মানার চিত্র কমই দেখা গেছে।
ছুটির দিন বলে যাত্রী সংখ্যা কম ছিল, ফলে এক আসন ফাঁকা রেখে বসার বিধি মানতে দেখা গেছে। কিন্তু বাসে যাত্রী উঠানোর সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের ব্যবস্থা দেখা যায়নি।চালক কিংবা হেলপার অধিকাংশের মুখে মাস্ক ছিল না। কারও ছিল পকেটে, কারও হাতে, কারও বা থুতনির নিচে ঝুলানো। একই উদাসীনতা যাত্রীদের বেলায়ও দেখা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ বাসস্টপ থেকে কাঁচপুর রোডে চলাচল করা বাঁধন পরিবহনের অন্তত অর্ধশতাধিক বাস কয়েক ঘণ্টায় পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, তাদের কোনো গাড়িতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হয় না। থুতনির নিচে মাস্ক ঝুলিয়ে হেলপাররা হাঁকডাক করে যাত্রীদের ধরে বাসে উঠাচ্ছেন।কয়েকটি বাসের ভেতর গিয়ে দেখা যায়, কিছু কিছু যাত্রীও মাস্ক খুলে গাড়িতে বসেছেন।
অন্যদিকে বন্ধু পরিবহনের একটি বাসের হেলপারকে চাষাড়া থেকে দেখা যায়, অন্যান্য গাড়ির সাথে প্রতিযোগিতা করে যাত্রীদের হাঁকডাক দিয়ে তুলতে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং কোনো মাস্ক না পরেই যাত্রী তোলায় ব্যস্ত ছিলেন ওই পরিবহনকর্মী।
স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে হেলপার খোকন মিয়া বলেন, এখন যাত্রী কম, গ্যাদারিং কম, যে কারণে মাস্ক পরিনি। মাস্ক একটা ছিল, হাত থেকে রাস্তায় পড়ে গেছে, সামনে গিয়ে আরেকটা কিনব।”
স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়ে যাত্রীদের একজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাড়িতে তো লোকজন কম, যে কারণে মাস্ক একটু খুলে বসেছি। সারাদিন মুখে মাস্ক পরে থাকলে অস্বস্তি লাগে।”
স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নারায়ণগঞ্জ, চাষাড়া,পঞ্চবটি,সাইনবোর্ড, শিমরাইল, কাঁচপুর, সোনারগাঁ রোডে বাস চলাচলের একি চিত্র দেখা যায়।
এদিকে কঠোর লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ শহরে অটো, অটোরিকশা,রিকশা,সিএনজি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিলো।কিন্তু বর্তমান আবার গত ৬ মে থেকে আন্তঃজেলায় গণপরিবহন বাস চালু হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ শহরে নারায়ণগঞ্জ, চাষাড়া,পঞ্চবটি,সাইনবোর্ড, শিমরাইল, কাঁচপুর, সোনারগাঁ রোডে বেড়েছে যানজট।
যেখানে ১০ মিনিটের রাস্তা সেখানে যাত্রীদের ৩০ মিনিট থেকে কোথাও কোথাও ১ ঘন্টা গাড়ীতে বসে থাকতে হচ্ছে।সেই সাথে পুলিশের পূর্বের কঠোর লকডাউনে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের চিত্র বর্তমান আর দেখা যাচ্ছে না বিভিন্ন পয়েন্টে এমনকি নারায়ণগঞ্জ জেলার বেশ কিছু পয়েন্ট থেকে চেকপোস্ট উঠিয়ে ফেলা হয়েছে।